বংশীহারি, 24 সেপ্টেম্বর : তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে 213টা আসন পেল, কিন্তু ওই 213 জনের মধ্যে কাউকে না নিয়ে একজন হেরোকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হয়েছে ৷ ডিওয়াইএফআই-এর জেলা সম্মেলনে একথা বলেন সংগঠনের রাজ্য কমিটির সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ৷ ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন-এর (Democratic Youth Federation of India, DYFI) 2 দিনের 20তম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় । সভায় মীনাক্ষী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই জেলা সম্পাদক শুভজিৎ দাস, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ধ্রুবজ্যোতি সাহা প্রমুখ। গতকালের এই সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
মীনাক্ষী বলেন, "আমাদের লড়াই তৃণমূল বা বিজেপির সঙ্গে নয়, যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা ডিওয়াইএফআই-এর সঙ্গে না থেকে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে চোরেদের দল করছে তাঁদের সঙ্গে ।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বেকারদের যেমন করে টেম্পোরারি বা চুক্তিভিত্তিক চাকরি দিচ্ছেন, তেমনই তিনিও 3 মাস টেম্পোরারি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন । এবার তিনি পার্মানেন্ট মুখ্যমন্ত্রী হতে ভোটে দাঁড়িয়েছেন ৷ তিনি গতকাল তাঁকে ভোটে জিতিয়ে আনার কথা বলেছেন । তিনি না জিতলে বিপদ হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন অর্থাৎ তিনি পার্মানেন্ট মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছেন ।’’
আরও পড়ুন : BJP Protest : মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে দলীয় নেতার মরদেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ বিজেপির
তৃণমূলকে বিঁধে মীনাক্ষী বলেন, "213টি আসন জয়লাভের পরেও একজন যোগ্য মুখ্যমন্ত্রী নেই 213 জনের মধ্যে । তাই একজন হেরোকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হয়েছে ৷" এছাড়া বুনিয়াদপুরে ওয়াগন তৈরির কারখানা প্রসঙ্গে বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়ে বলেন, "ওয়াগন তৈরির কারখানা হলে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরের আর্থসামাজিক পরিবর্তন হত ।" প্রস্তাবিত বুনিয়াদপুর কালিয়াগঞ্জ রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ ও হিলি বালুরঘাট রেল লাইনের কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন সভায় । কাজের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে রাস্তায় থাকার বার্তা দেন কর্মী-সমর্থকদের ।
ডিওয়াইএফআই সভানেত্রী মোদির আচ্ছে দিন-এর প্রসঙ্গ টেনে ভোজ্য তেল, জ্বালানি তেল ও ইলেকট্রিক বিলের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেন । কেন্দ্র রেল, বীমাকে বিক্রি করতে চলেছে বলে তোপ দাগেন তিনি। তাঁর কথায়, "বিজেপি থেকে আমাদের সাবধানে থাকতে হবে ।" রাজ্যে তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করে মীনাক্ষী জানান, দক্ষিণ দিনাজপুরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কোনও পরিকাঠামো নেই । বেকারদের কাজ না দিয়ে যুবশ্রী, কন্যাশ্রী নিয়ে ব্যস্ত তৃণমূল সরকার । জেলার লক্ষ লক্ষ শ্রমিক আজ কাজের তাগিদে ভিনরাজ্যে । দক্ষিণ দিনাজপুরে রামপুরে ক'টি চাল মিল ছাড়া আর কিছু নেই ৷ স্থায়ী পদে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ, জেলায় কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের দাবি করেন তিনি ।
আরও পড়ুন : Anubrata Mondal: ভবানীপুরে মমতার জয়ের জন্য যজ্ঞের দরকার নেই : অনুব্রত