বালুরঘাট, 3 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে রাজ্যজুড়ে মজুত কমেছে রক্তের । প্রতিদিনই কোনও কোনও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে । থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়ার রোগী বা প্রসূতিদের নিয়ে উদ্বেগে চিকিৎসকরাও । এই পরিস্থিতিতে বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুরের দু'টি ব্লাড ব্যাঙ্কে গতকাল রক্তদান করলেন DYFI কর্মীরা । সঙ্গে রক্ত দিলেন জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্তসহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা ।
এমনিতেই গরম পড়লে রক্তের চাহিদা বাড়ে । যা মেটাতে ব্লাড ব্য়াঙ্কগুলিতে রক্তের মজুত কমতে থাকে । চলতি বছরে গোদের উপর বিষ ফোঁড়া কোরোনা । যার জেরে উদ্বিগ্ন রাজ্যের চিকিৎসক থেকে ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সকলেই । থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্তের চাহিদা থাকে । ক্যানসার, হিমোফিলিয়সহ নানা রোগের সঙ্গে পুড়ে যাওয়া বা বড় দুর্ঘটনায় জখমদেরও পর্যাপ্ত রক্ত লাগে । প্রসূতি ও অস্ত্রোপচারের সময় সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিকে রক্ত মজুত রাখতে হয় । কারণ রক্তের অভাবে যেকোনও মুহূর্তে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ।
মজুত ব্লাডের পরিমাণ কমছে এই আশঙ্কা প্রকাশ করে রক্তদানের আবেদনের করেছিল ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ । রক্তদানের জন্য জেলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফেও আবেদন করা হয় । তাই সংকট মেটাতে মঙ্গলবার বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুরে রক্তদান করেছিলেন পুলিশ আধিকারিক ও সাংবাদিকরা । এরপরই এগিয়ে আসে দক্ষিণ দিনাজপুর DYFI । সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় । সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলে রক্তদান । দু'টি ব্লাড ব্যাঙ্কে তাদের সবমিলিয়ে প্রায় 40 জন রক্ত দেন । রক্ত দান করেন জেলা পুলিশ সুপার, DSP হেড কোয়ার্টার ধীমান মিত্র, DSP ট্র্যাফিক অরিন্দম পালচৌধুরিসহ 52 জন পুলিশ কর্মী ।
আরও পড়ুন : মজুত ফুরোচ্ছে, ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত দিলেন পুলিশ ও সাংবাদিকরা
এবিষয়ে সুরজিৎ বলেন, এই পরিস্থিতিতে রক্ত সংকট কিছুটা মেটাতে চেষ্টা করা হল । আজ সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তদান করা হয় । আগামীদিনেও রক্ত লাগলে আমরা প্রস্তুত ।