ETV Bharat / state

বালুরঘাটে সদ্যোজাতের মৃত্যুতে অভিযোগ প্রত্যাহারের হুমকি, অস্বীকার চিকিৎসকের - বালুরঘাটের শিশু মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে আনা পরিবারের অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ

সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে আনা গাফিলতির অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য় শিশুর পরিবারকে হুমকি ৷ অভিযুক্ত হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন কুমার মুস্তাফি ৷ যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন ৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘটনা ৷

বালুরঘাট
author img

By

Published : Oct 15, 2019, 3:53 PM IST

Updated : Oct 15, 2019, 4:56 PM IST

বালুরঘাট, 15 অক্টোবর : বালুরঘাটে সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে আনা গাফিলতির অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য শিশুর পরিবারকে হুমকি ৷ অভিযুক্ত চিকিৎসক ৷ যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ৷

বৃহস্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি হন অর্পিতা দাস ৷ শুক্রবার সকালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ৷ সিজ়ারের পর মা ও সন্তান দু'জনেই ভালো ছিল ৷ এরপর রবিবার সকালে শিশুর পরিবারকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হয় ৷ জানানো হয় গলায় খাবার (দুধ) আটকে মারা গেছে শিশু ৷ কাপড়ে মুড়িয়ে মৃত শিশুকে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে ৷ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে গিয়ে কাপড় খুলতেই নজরে আসে শিশুর মুখের বাঁদিকে ও হাত-পায়ে রয়েছে ক্ষত চিহ্ন ৷ এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন ৷ বালুরঘাট থানার ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷

আরও পড়ুন : হাসপাতালের সদ্যোজাতের মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ

শিশুর পরিবারের অভিযোগ, গতকাল বালুরঘাট থানায় দায়ের করা সেই অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয় তাদের ৷ গলায় খাবার (দুধ) আটকেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে ৷ এটা লিখিতভাবে সর্বত্র চিঠি দিয়ে জানাতে হবে বলেই জানান স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন কুমার মুস্তাফি ৷ এমন কী অভিযোগ না তুলে নিলে মৃত শিশুর বাবা সাধন দাসের জেল হেপাজত পর্যন্ত হতে পারে বলে হুমকি দেন ৷

গতকাল মৃত শিশুর ঠাকুরদা সুনীল দাস রঞ্জনবাবুর চেম্বারে গিয়ে অর্পিতাকে ছুটি দেওয়া যাবে কি না জানতে চান ৷ সে সময় তিনি এই হুমকি দেন বলে অভিযোগ ৷ সুনীলবাবু বলেন, "চার জায়গায় চিঠি দিতে বলেন ডাক্তারবাবু ৷ লিখতে বলেন দুধ খেতে গিয়েই বাচ্চাটি মারা গেছে ৷ এটা না করলে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত ব্যাপারটা চলে গেছে ৷ অর্পিতার স্বামীকে পাঁচ বছর জেলের ঘানি টানতে হতে পারে ৷ " তিনি আরও বলেন, "ডাক্তারবাবুর বিরুদ্ধে আমাদের কোনও অভিযোগ ছিল না ৷ আমাদের মূল অভিযোগ ছিল হাসপাতালের আয়া, নার্স ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৷ " যে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেখানেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ৷ তাই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কতটা সঠিক সে নিয়ে কি কোনও সন্দেহ রয়েছে তাঁর ? উত্তরে সুনীলবাবু বলেন, " পোস্টমর্টেম রিপোর্ট চেঞ্জ করতে পারে ৷ বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে ৷ সঠিক রিপোর্ট নাও দিতে পারে ৷ "

অন্যদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন রঞ্জনবাবু ৷ তিনি বলেন, শিশুর পরিবারের সদস্যরা রোগীর ছুটির জন্য তাঁর কাছে গেছিলেন ৷ যেহেতু হাসপাতাল সুপারের অনুমতি ছাড়া ছুটি দেওয়া যায় না ৷ তাই তিনি ছুটি দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন । পরে অবশ্য সুপারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন ৷ তিনি নির্দেশ দেন অন রিকোয়েস্ট রোগীকে ছুটি দেওয়া যেতে পারে । পরিবারের লোকজনকে হুমকি বা ভয় দেখানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি ।

বালুরঘাট, 15 অক্টোবর : বালুরঘাটে সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে আনা গাফিলতির অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য শিশুর পরিবারকে হুমকি ৷ অভিযুক্ত চিকিৎসক ৷ যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ৷

বৃহস্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি হন অর্পিতা দাস ৷ শুক্রবার সকালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ৷ সিজ়ারের পর মা ও সন্তান দু'জনেই ভালো ছিল ৷ এরপর রবিবার সকালে শিশুর পরিবারকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হয় ৷ জানানো হয় গলায় খাবার (দুধ) আটকে মারা গেছে শিশু ৷ কাপড়ে মুড়িয়ে মৃত শিশুকে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে ৷ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে গিয়ে কাপড় খুলতেই নজরে আসে শিশুর মুখের বাঁদিকে ও হাত-পায়ে রয়েছে ক্ষত চিহ্ন ৷ এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন ৷ বালুরঘাট থানার ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷

আরও পড়ুন : হাসপাতালের সদ্যোজাতের মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ

শিশুর পরিবারের অভিযোগ, গতকাল বালুরঘাট থানায় দায়ের করা সেই অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয় তাদের ৷ গলায় খাবার (দুধ) আটকেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে ৷ এটা লিখিতভাবে সর্বত্র চিঠি দিয়ে জানাতে হবে বলেই জানান স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন কুমার মুস্তাফি ৷ এমন কী অভিযোগ না তুলে নিলে মৃত শিশুর বাবা সাধন দাসের জেল হেপাজত পর্যন্ত হতে পারে বলে হুমকি দেন ৷

গতকাল মৃত শিশুর ঠাকুরদা সুনীল দাস রঞ্জনবাবুর চেম্বারে গিয়ে অর্পিতাকে ছুটি দেওয়া যাবে কি না জানতে চান ৷ সে সময় তিনি এই হুমকি দেন বলে অভিযোগ ৷ সুনীলবাবু বলেন, "চার জায়গায় চিঠি দিতে বলেন ডাক্তারবাবু ৷ লিখতে বলেন দুধ খেতে গিয়েই বাচ্চাটি মারা গেছে ৷ এটা না করলে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত ব্যাপারটা চলে গেছে ৷ অর্পিতার স্বামীকে পাঁচ বছর জেলের ঘানি টানতে হতে পারে ৷ " তিনি আরও বলেন, "ডাক্তারবাবুর বিরুদ্ধে আমাদের কোনও অভিযোগ ছিল না ৷ আমাদের মূল অভিযোগ ছিল হাসপাতালের আয়া, নার্স ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৷ " যে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেখানেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ৷ তাই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কতটা সঠিক সে নিয়ে কি কোনও সন্দেহ রয়েছে তাঁর ? উত্তরে সুনীলবাবু বলেন, " পোস্টমর্টেম রিপোর্ট চেঞ্জ করতে পারে ৷ বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে ৷ সঠিক রিপোর্ট নাও দিতে পারে ৷ "

অন্যদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন রঞ্জনবাবু ৷ তিনি বলেন, শিশুর পরিবারের সদস্যরা রোগীর ছুটির জন্য তাঁর কাছে গেছিলেন ৷ যেহেতু হাসপাতাল সুপারের অনুমতি ছাড়া ছুটি দেওয়া যায় না ৷ তাই তিনি ছুটি দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন । পরে অবশ্য সুপারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন ৷ তিনি নির্দেশ দেন অন রিকোয়েস্ট রোগীকে ছুটি দেওয়া যেতে পারে । পরিবারের লোকজনকে হুমকি বা ভয় দেখানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি ।

Intro:অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য মৃত শিশুর পরিবারকে হুমকি, অভিযোগের তির হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।।

বালুরঘাট, ১৪ অক্টোবর: গতকালের ঘটনার জের হাসপাতালে গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ থানা থেকে তুলে নিয়ে বা প্রত্যাহার করে গলায় দুধ লেগে শিশুর মৃত্যু হয়েছে এমনটা লিখিত দেওয়ার জন্য পরিবারকে নানান ভাবে হুমকির অভিযোগ। ঘটনার অভিযোগ উঠেছে বালুরঘাট হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রঞ্জন কুমার মোস্তাফির বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই চিকিৎসক। অন্যদিকে আতঙ্কে সোমবার রাতে অর্পিতা দাস নামে ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। ঘটনায় জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানাতে চলেছে মৃত শিশুর পরিবার।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত বারোটার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে স্ত্রী অর্পিতা দাসকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভর্তি করেন স্বামী সাধন দাস। ভর্তি করার পরদিন অর্থ্যাৎ শুক্রবার সকালে অস্ত্রোপচার বা সিজারে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন অর্পিতাদেবী। অভিযোগ, সিজারের পর মা ও সন্তান দু'জনেই ভালো ছিল। রবিবার সকালে শিশুর পরিবারের লোকদের হাসপাতালে তড়িঘড়ি ডাকা হয়। হাসপাতালের পর থেকে পরিবারের লোকেদের জানানো হয় তাদের সন্তানের গলায় খাবার(দুধ) আটকে মারা গেছে। এরপর কাপড়ে মুড়িয়ে পরিবারের হাতে মৃত শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়। সৎকারের জন্য শিশুটিকে শ্মশানে নিয়ে গেলেই পরিবারের লোকেদের চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায়। শরীরে মোড়ানো কাপড় খুলতেই নজরে আসে শিশুটির বা পাশে মুখ থেকে হাত পায়ে ক্ষত চিহ্ন। এমনকি নাক ও মুখেও রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায়। বিষয়টি নজরে আসতে ফের শ্মশান থেকে হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে আসে পরিবার। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ হাসপাতালের বেড থেকে পড়ে গিয়ে এই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন। এদিকে ঘটনায় বালুরঘাট থানায় পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃত শিশুর পরিবার।

এদিন বালুরঘাট থানায় দায়ের করা সেই অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে ও গলায় দুধ আটকে শিশুর মৃত্যু হয়েছে এমনটা লিখিত ভাবে সর্বত্র জানানোর জন্য হাসপাতালের চিকিৎসক রঞ্জন কুমার মুস্তাফি পরিবারের লোকজনদের হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ পরিবারের। এমনকি অভিযোগ না তুললে মৃত শিশুর বাবার জেল হেফাজত হতে পারে। তাই পুরনো অভিযোগ তুলে নিয়ে নতুন করে সর্বত্র নতুন করে চিঠি দেওয়ার কথা জানান। যেখানে উল্লেখ করা থাকবে বেড থেকে পড়ে গিয়ে নয় গলায় দুধ আটকে মারা গেছে তাদের সন্তান।

এবিষয়ে মৃত শিশুর ঠাকুরদা সুনীল দাস জানান, গতকাল তাদের নাতি হাসপাতালের বেড থেকে পরে গিয়ে মারা গেছে। এই নিয়ে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানায় অভিযোগ করায় তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসক রঞ্জন কুমার মোস্তাফি নানা ভাবে ভয় দেখাচ্ছেন ও হুমকি দিচ্ছেন। তার ছেলের নাকি জেল হেফাজত হবে সব অভিযোগ তুলে না নিলে। এ নিয়ে তারা ফের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানাতে চলেছেন। এমন কি যে হবে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে তাতে তারা সন্দেহ প্রকাশ করছেন হাসপাতালে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কতটা সঠিক আসবে তা নিয়েও।

অন্যদিকে অভিযোগ ওঠা চিকিৎসক রঞ্জন কুমার মুস্তাফি ঘটনার কথা অস্বীকার করে জানান, বাড়ির লোকজন রোগীর ছুটির জন্য তার কাছে আর্জি জানান। তিনি ছুটি দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। এরপর পুরো বিষয়টি হাসপাতাল সুপারকে টেলিফোনে জানান। হাসপাতাল সুপারের নির্দেশ পেয়ে রোগীকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। পরিবারের লোকজনকে হুমকি বা ভয় দেখানোর কোন ঘটনা ঘটেনি। এসব তার নামে মিথ্যে রটানো হচ্ছে।


Body:Balurghat


Conclusion:Balurghat
Last Updated : Oct 15, 2019, 4:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.