বংশীহারি, 31 জুলাই: পুকুর থেকে পরপর দু'দিনে তিনটি মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়েছে বংশীহারি ব্লকের ব্রজবল্লভপুর পঞ্চায়েতের কুসুম্বা এলাকায় ৷ সেখানকার ধামুয়া পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে মূর্তিগুলি ৷ এই ঘটনায় খুশি গ্রামবাসীরা ৷ তিনটি মূর্তিকে পরিষ্কার করে দুর্গা মণ্ডপে রেখে পূজা-অর্চনা শুরু করেছেন তাঁরা ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে পুকুরের অংশীদারে জিতেন মাহাতো বলেন, "গত দুদিন ধরে ধামুয়া পুকুর এলাকায় বিষ্ণু মূর্তি-সহ অন্যান্য মূর্তি উঠে এসেছে পুকুর থেকে। আমরা এই মূর্তিগুলিকে মন্দিরের পাশে দুর্গা মণ্ডপে রেখে সারাবছর পূজার্চনা করব। এই মূর্তিগুলো পেয়ে আমরা খুবই খুশি।"
আর এক পুকুরের অংশীদার খোকন মাহাতো বলেন "আমার জ্যাঠার পুকুর থেকে শনিবার এবং রবিবার দু'দিন ধরেই বিষ্ণু মূর্তি এবং দুর্গার মূর্তি উঠে এসেছে। এই মূর্তিগুলি খুবই প্রাচীন ৷ আমরা এই মূর্তিগুলি প্রশাসনের হাতে তুলে দিইনি ৷ বরং নিজেরাই নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে সারাবছর মন্দিরে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷"
জানা গিয়েছে, 7 কুসুম্বা মৌজায় 12 বিঘা এলাকা জুড়ে ছয় শরিকের নামে ধামুয়া পুকুর রয়েছে। সারা বছরই পুকুরে জল থাকে। প্রতিবছর এই পুকুরে শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা আসে। এবছর পুকুরের জল শুকিয়ে যাওয়ায় ছয় পুকুর মালিক মাটি খননের কাজ শুরু করেন। জিসিবি দিয়ে কয়েকদিন ধরে চলছিল মাটি খননের কাজ। শনিবার দুপুরে হঠাৎ পুকুরের উত্তর পাশ থেকে একটি বিষ্ণুর বাহন গড়ুর পাখির পাথরের মূর্তি উঠে আসে। গড়ুর পাখির একটি ডানা ভাঙ্গা ছিল। যার উচ্চতা দেড় ফুট, চওড়ায় এক ফুট।
আরও পড়ুন: ভগ্নপ্রায় স্কুল, পড়ুয়া-শিক্ষকদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই চলছে ক্লাস
রবিবার বিকেলে পুকুরের পশ্চিম পাশ থেকে একইভাবে আর একটি বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার হয়। উদ্কধার হয় আরও একটি কৃষ্ণ যশোদার মূর্তি। মূর্তিটি নিখুঁত কারুকার্যে সমৃদ্ধ। জানা গিয়েছে, 30 বছর আগে এই পুকুরের অংশীদার জিতেন মাহাতোর পিতা স্বর্গীয় বিশ্বনাথ মাহাতো পুকুরের একটি অংশ খননের সময় একটি লক্ষী-নারায়ণ মূর্তি পেয়েছিলেন। সেই সময় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তিনি নাকি ওই মূর্তিটি পুকুরেই আবার রেখে দিয়েছিলেন। তবে উদ্ধার হওয়া তিনটি মূর্তি কালো পাথরের হলেও কষ্টিপাথর না সাধারণ পাথরের, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে এলাকাবাসীদের।