বালুরঘাট, 21 মে : করোনা আতঙ্কে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষিকার মৃতদেহ 12 ঘণ্টা পড়ে রইল বাড়িতেই । বয়সজনিত কারণে মৃত্যু হলেও পাশে দাঁড়ায়নি এলাকাবাসী । শুক্রবার এমন অমানবিক চিত্র ধরা পড়ল বালুরঘাট শহরের দিপালীনগরে । এরপর খবর পেয়ে প্রায় 12 ঘণ্টা পর মৃতদেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তে পাঠায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সবুজ ভলান্টিয়াররা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকার নাম সংযুক্তা বসু । বয়স হয়েছিল 66 বছর । তিনি বালুরঘাট খাদিমপুর গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন । বছর ছয়েক আগেই তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন । এদিকে সংযুক্তাদেবীর বাড়িতে রয়েছে একমাত্র ছেলে । যদিও তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন । অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে নানা অসুখে ভুগছিলেন সংযুক্তাদেবী । অবশেষে গত কাল রাতে তিনি মারা যান ।
এরপর এলাকায় করোনা আতঙ্ক ছড়ায় । বিষয়টি জানার পর পরিবারের অন্যান্য সদস্য থেকে প্রতিবেশীরা কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি । প্রায় 12 ঘণ্টা পর শুক্রবার বিষয়টি জানতে পেরে বালুরঘাটের তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সবুজ ভলান্টিয়াররা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় । বিষয়টি জানার পর মৃতদেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় সবুজ ভলান্টিয়াররা ।
প্রতিবেশী তথা সবুজ ভলান্টিয়ারের সদস্য প্রবীর দে জানান, সংযুক্তাদেবী গতকাল রাতে মারা গেলেও করোনার আতঙ্কে প্রতিবেশীরা কেউ এগিয়ে আসেনি । সকালে জানার পর বেশকিছু ডাক্তারকে খবর দিলেও তাঁরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন । এরপর তৃণমূলের সবুজ ভলান্টিয়ারদের জানানো হয় ৷ তারা বালুরঘাট পুরসভা ও থানার সহযোগিতায় মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ।
আরও পড়ুন : পরিবারের সংক্রমণের আশঙ্কা, খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে দিনযাপন করোনা আক্রান্তের
তৃণমূল কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের বালুরঘাট ব্লক সভাপতি চন্দন চৌহান বলেন, ‘‘কোভিড আতঙ্কের কারণে প্রতিবেশীরা কেউ এগিয়ে আসেনি । আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মীদের নিয়ে ছুটে যাই এবং সিএমওএইচ ও থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসি ।’’