ETV Bharat / state

হাসপাতালের সদ্যোজাতের মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ - বালুরঘাট

হাসপাতালের বিছানা থেকে পড়ে যায় শিশুকন্যাটি, তাতেই মৃত্যু এমন অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার৷ এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্তন্যপানের সময় শ্বাস আটকে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির ৷

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Oct 13, 2019, 9:28 PM IST

Updated : Oct 13, 2019, 9:40 PM IST

বালুরঘাট, 13 অক্টোবর : হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ৷ হাসপাতালের বিছানা থেকে পড়ে যায় শিশুকন্যাটি, তাতেই মৃত্যু এমন অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার৷ এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্তন্যপানের সময় শ্বাস আটকে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির ৷ আজ বিকেলে ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসেন বালুরঘাট থানার IC জয়ন্ত দত্ত ৷ থানা ও হাসপাতালে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃত সদ্যোজাতর পরিবার ৷ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে ৷

বালুরঘাট থানার অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের অযোধ্যা এলাকায় বাড়ি সাধন দাসের ৷ পেশায় কৃষিজীবী তিনি ৷ প্রায় বছর খানেক আগে বালুরঘাট থানার নুনইল এলাকার অর্পিতা দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় সাধনের ৷ বৃহস্পতিবার রাত 12 টা নাগাদ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি হন অর্পিতা৷ শুক্রবার সকালে সিজ়ারিয়ান অস্ত্রোপচারের পর কন্যাসন্তানের জন্ম দেন অর্পিতা ৷ মা ও শিশু দু'জনই সুস্থ ছিল ৷

hospital
বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল

আজ সকালে হঠাৎই হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হয় সদ্যোজাতর পরিবারকে ৷ জানানো হয়, সদ্যোজাত শিশুর গলায় খাবার (দুধ) আটকে মারা গেছে ৷ কাপড়ে মুড়িয়ে মৃত শিশুকে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে ৷ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে গিয়ে কাপড় খুলতেই নজরে আসে শিশুর মুখের বাঁদিকে ও হাত-পায়ে রয়েছে ক্ষত চিহ্ন ৷ এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন ৷ বালুরঘাট থানার ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা ৷ আজ রবিবার, তাই হাসপাতাল ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেনি পরিবারের লোকজন ৷ মৃত শিশুর ময়নাতদন্তও করা হয় হাসপাতালে ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতালে চত্বরে মোতায়েন করা হয় পুলিশও ৷

মৃত শিশুর আত্মীয় পলি দাস ও শমিতা দাস বলেন, ''গতরাতে হাসপাতালে চত্বরে আলোচনা চলছিল কোনও শিশু পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছে ৷ আজ সকালে জানানো হয়, গলায় মায়ের দুধ আটকে মৃত্যু হয়েছে ৷ গলায় খাবার আটকে মারা গেলে শরীরে ক্ষতচিহ্ন থাকার কথা নয় ৷''

দেখুন ভিডিয়ো

হাসপাতালে সুপার থেকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি । তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, বিছানা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়নি শিশুটির । শুইয়ে দুধ খাওয়ানোয় গলায় খাবার আটকে এই অঘটন ঘটে । অন্যদিকে এ বিষয়ে বালুরঘাট থানার IC জয়ন্ত দত্ত জানান, ঘটনার অভিযোগ পেয়েছেন । খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

বালুরঘাট, 13 অক্টোবর : হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ৷ হাসপাতালের বিছানা থেকে পড়ে যায় শিশুকন্যাটি, তাতেই মৃত্যু এমন অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার৷ এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্তন্যপানের সময় শ্বাস আটকে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির ৷ আজ বিকেলে ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসেন বালুরঘাট থানার IC জয়ন্ত দত্ত ৷ থানা ও হাসপাতালে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃত সদ্যোজাতর পরিবার ৷ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে ৷

বালুরঘাট থানার অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের অযোধ্যা এলাকায় বাড়ি সাধন দাসের ৷ পেশায় কৃষিজীবী তিনি ৷ প্রায় বছর খানেক আগে বালুরঘাট থানার নুনইল এলাকার অর্পিতা দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় সাধনের ৷ বৃহস্পতিবার রাত 12 টা নাগাদ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি হন অর্পিতা৷ শুক্রবার সকালে সিজ়ারিয়ান অস্ত্রোপচারের পর কন্যাসন্তানের জন্ম দেন অর্পিতা ৷ মা ও শিশু দু'জনই সুস্থ ছিল ৷

hospital
বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল

আজ সকালে হঠাৎই হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হয় সদ্যোজাতর পরিবারকে ৷ জানানো হয়, সদ্যোজাত শিশুর গলায় খাবার (দুধ) আটকে মারা গেছে ৷ কাপড়ে মুড়িয়ে মৃত শিশুকে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে ৷ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে গিয়ে কাপড় খুলতেই নজরে আসে শিশুর মুখের বাঁদিকে ও হাত-পায়ে রয়েছে ক্ষত চিহ্ন ৷ এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন ৷ বালুরঘাট থানার ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা ৷ আজ রবিবার, তাই হাসপাতাল ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেনি পরিবারের লোকজন ৷ মৃত শিশুর ময়নাতদন্তও করা হয় হাসপাতালে ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতালে চত্বরে মোতায়েন করা হয় পুলিশও ৷

মৃত শিশুর আত্মীয় পলি দাস ও শমিতা দাস বলেন, ''গতরাতে হাসপাতালে চত্বরে আলোচনা চলছিল কোনও শিশু পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছে ৷ আজ সকালে জানানো হয়, গলায় মায়ের দুধ আটকে মৃত্যু হয়েছে ৷ গলায় খাবার আটকে মারা গেলে শরীরে ক্ষতচিহ্ন থাকার কথা নয় ৷''

দেখুন ভিডিয়ো

হাসপাতালে সুপার থেকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি । তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, বিছানা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়নি শিশুটির । শুইয়ে দুধ খাওয়ানোয় গলায় খাবার আটকে এই অঘটন ঘটে । অন্যদিকে এ বিষয়ে বালুরঘাট থানার IC জয়ন্ত দত্ত জানান, ঘটনার অভিযোগ পেয়েছেন । খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

Intro:বালুরঘাট হাসপাতালের বেড থেকে পড়ে মৃত্যু সদ্যোজাতের, গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের।।

বালুরঘাট, ১৩ অক্টোবর: হাসপাতালের বেড থেকে পড়ে গিয়ে সদ্যোজাত শিশু মৃত্যুর অভিযোগ। ঘটনায় রবিবার বিকেলে উত্তেজনা ছড়ালো বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনায় বালুরঘাট থানা ও হাসপাতালে লিখিত অভিযোগ দায়ের মৃত শিশুর পরিবারের। অভিযোগ পেলে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস বালুঘাট থানার। অন্য দিকে শিশুর গলায় খাবার(মায়ের দুধ) আটকে মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের দাবি।

জানা গেছে, বালুরঘাট থানার অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের অযোধ্যা এলাকায় বাড়ি সাধন দাসের। পেশায় কৃষক তিনি। প্রায় বছর খানেক আগে বালুঘাট থানার নুনইল এলাকার অর্পিতা দাসের(২২) সঙ্গে বিয়ে হয় সাধনের। গত বৃহস্পতিবার রাত বারোটার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে স্ত্রী অর্পিতা দাসকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভর্তি করে সাধন। ভর্তি করার পর শুক্রবার সকালে অস্ত্রোপচার বা সিজারে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন অর্পিতাদেবী। অভিযোগ, সিজারের পর মা ও সন্তান দু'জনেই ভালো ছিল। রবিবার সকালে শিশুর পরিবারের লোকদের হাসপাতালে তড়িঘড়ি ডাকা হয়। হাসপাতালের পর থেকে পরিবারের লোকেদের জানানো হয় তাদের সন্তানের গলায় খাবার(দুধ) আটকে মারা গেছে। এরপর কাপড়ে মুড়িয়ে পরিবারের হাতে মৃত শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়। সৎকারের জন্য শিশুটিকে শ্মশানে নিয়ে গেলেই পরিবারের লোকেদের চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায়। শরীরে মোড়ানো কাপড় খুলতেই নজরে আসে শিশুটির বা পাশে মুখ থেকে হাত পায়ে ক্ষত চিহ্ন। এমনকি নাক ও মুখেও রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায়। বিষয়টি নজরে আসতে ফের শ্মশান থেকে হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে আসে পরিবার। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ হাসপাতালের বেড থেকে পড়ে গিয়ে এই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন। এদিকে ঘটনায় বালুরঘাট থানায় পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃত শিশুর পরিবার। অন্যদিকে এ দিন রবিবার থাকায় বালুরঘাট হাসপাতাল ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আছে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেনি পরিবারের লোকজন। আগামীকাল এই দুই জায়গায় অভিযোগ জানানো হবে। এদিকে এদিন মৃত শিশুর ময়না তদন্ত শুরু হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। উত্তেজনা থাকায় হাসপাতাল চত্বরে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

এবিষয়ে মৃত শিশুর আত্মীয় পলি দাস ও সমিতা দাস জানান, গতকাল রাতে হাসপাতাল চত্বরে আলোচনা চলছিল কোন শিশু পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছে। এদিকে আজ সকালে তাদেরকে জানানো হয় গলায় মায়ের দুধ আটকে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আর গলায় খাবার আটকে মারা গেলে শিশুর গায়ে কোন ক্ষত চিহ্ন থাকার কথা নয়। তাই তাদের দাবি গতকাল হাসপাতাল চত্বরে যে শোরগোল চলছিল শিশু পড়ে গিয়ে মারা যাওয়ার, সেটি তাদেরই সন্তানের।

এবিষয়ে হাসপাতালে সুপার থেকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক স্বাস্থকর্মী জানান শিশুটির পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়নি। শুয়ে থেকে দুধ খাওয়ানোয় গলায় খাবার আটকে গিয়ে এই অঘটন ঘটে।

অন্যদিকে এ বিষয়ে বালুরঘাট থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত জানান, ঘটনার অভিযোগ পেয়েছেন। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


Body:Balurghat


Conclusion:Balurghat
Last Updated : Oct 13, 2019, 9:40 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.