ETV Bharat / state

পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হল BJP-র মহিলা সমর্থককে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা - BJP মহিলা কর্মীকে মারধোর,অভিযোগ তৃণমূল উপ প্রধানের বিরুদ্ধে

রাস্তার কাজে জমি দখল করার প্রতিবাদ করে গঙ্গারামপুরে আক্রান্ত BJP সমর্থক তৃপ্তি দে ( নাম পরিবর্তিত) ৷ অভিযোগ, তাঁর জমির উপর দিয়ে জোর করে দিয়ে রাস্তা করা হচ্ছিল ।

Gangarampur
BJP মহিলা কর্মী
author img

By

Published : Feb 2, 2020, 6:49 PM IST

Updated : Feb 2, 2020, 10:50 PM IST

গঙ্গারামপুর, 2 ফেব্রুয়ারি : জায়গা দখল করে রাস্তা সংস্কারের কাজে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন । তাই BJP-র এক মহিলা সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান অমল সরকারের বিরুদ্ধে । ওই মহিলার পায়ে দড়ি বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় । এই অভিযোগ ওঠার পর অমল সরকারকে সাসপেন্ড করে দল । যদিও সাসপেনসনের কোনও চিঠি পাননি বলে দাবি করেন অমলবাবু ।

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় নন্দনপুর মোড় থেকে হাঁপুনিয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করে গঙ্গারামপুরের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত । কিন্তু, তাঁর জায়গার উপর দিয়ে জোর করে রাস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় মহিলা তৃপ্তি দে (নাম পরিবর্তিত) । এনিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানান । এমনকী, রাস্তা তৈরির কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে বাধা দেন । অভিযোগ, কাজে বাধা পেয়ে ওই মহিলার পা দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান তৃণমূল কর্মীরা । সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে । বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে ।

আক্রান্ত তৃপ্তি দে বলেন, "রাস্তা করার সময় বলা হয়েছিল ১২ ফুট করা হবে । কিন্তু দেখি ২৪ ফুটের বেশি করা হচ্ছে। সেই সময় আমি বলতে গেলে আমার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ওরা । গালিগালাজ শুরু করে । আমাকে লোহার রড দিয়ে মারা হয় । পা বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় । রাস্তার ধারে একটি ঘরে ফেলে রাখা হয়েছিল । আমার দিদি এগিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় । বাড়ির লোকজন এসে আমাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভরতি করে ।"

পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হল BJP-র মহিলা সমর্থককে

ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বালুরঘাটের BJP সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "দলীয় ওই কর্মীকে তৃণমূল কর্মীরা খুব মারধর করেছে । এই ধরনের আচরণ তৃণমূল কর্মীরাই করতে পারে । মধ্যযুগীয় বর্বরতা আমরা ইতিহাসের পাতায় পড়েছি । একজন মহিলার সঙ্গে এরকম অমানবিক আচরণ তৃণমূল করতে পারে । পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা কী অবস্থায় আছেন এদের দেখলে বোঝা যায় । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন যে ঘনিয়ে এসেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে ।"

যদিও INTTUC-র জেলা সভাপতি মজিরুদ্দিন মণ্ডল বলেন, এরকম কোনও ঘটনা হয়নি ।

গঙ্গারামপুর, 2 ফেব্রুয়ারি : জায়গা দখল করে রাস্তা সংস্কারের কাজে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন । তাই BJP-র এক মহিলা সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান অমল সরকারের বিরুদ্ধে । ওই মহিলার পায়ে দড়ি বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় । এই অভিযোগ ওঠার পর অমল সরকারকে সাসপেন্ড করে দল । যদিও সাসপেনসনের কোনও চিঠি পাননি বলে দাবি করেন অমলবাবু ।

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় নন্দনপুর মোড় থেকে হাঁপুনিয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করে গঙ্গারামপুরের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত । কিন্তু, তাঁর জায়গার উপর দিয়ে জোর করে রাস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় মহিলা তৃপ্তি দে (নাম পরিবর্তিত) । এনিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানান । এমনকী, রাস্তা তৈরির কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে বাধা দেন । অভিযোগ, কাজে বাধা পেয়ে ওই মহিলার পা দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান তৃণমূল কর্মীরা । সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে । বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে ।

আক্রান্ত তৃপ্তি দে বলেন, "রাস্তা করার সময় বলা হয়েছিল ১২ ফুট করা হবে । কিন্তু দেখি ২৪ ফুটের বেশি করা হচ্ছে। সেই সময় আমি বলতে গেলে আমার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ওরা । গালিগালাজ শুরু করে । আমাকে লোহার রড দিয়ে মারা হয় । পা বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় । রাস্তার ধারে একটি ঘরে ফেলে রাখা হয়েছিল । আমার দিদি এগিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় । বাড়ির লোকজন এসে আমাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভরতি করে ।"

পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হল BJP-র মহিলা সমর্থককে

ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বালুরঘাটের BJP সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "দলীয় ওই কর্মীকে তৃণমূল কর্মীরা খুব মারধর করেছে । এই ধরনের আচরণ তৃণমূল কর্মীরাই করতে পারে । মধ্যযুগীয় বর্বরতা আমরা ইতিহাসের পাতায় পড়েছি । একজন মহিলার সঙ্গে এরকম অমানবিক আচরণ তৃণমূল করতে পারে । পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা কী অবস্থায় আছেন এদের দেখলে বোঝা যায় । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন যে ঘনিয়ে এসেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে ।"

যদিও INTTUC-র জেলা সভাপতি মজিরুদ্দিন মণ্ডল বলেন, এরকম কোনও ঘটনা হয়নি ।

Intro:
বিজেপি মহিলা কর্মিকে মারধরের অভিযোগ তৃনমূল কংগ্রেসের উপ প্রধানের বিরুদ্ধে ।।
গঙ্গারামপুর ;-০১ ফেব্রুয়ারি ;-শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু করা নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মতো নন্দনপুর মোড় থেকে হাঁপুনিয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ঐ এলাকার বাসিন্দা অভিযোগকারী স্মৃতিকণা দাসের অভিযোগ তার জমির উপর দিয়ে নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমল সরকার জোর করে তাঁর বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা করছে । রাস্তা তৈরী হওয়ায় তিনি রাস্তা তৈরী করতে বাধাদেন ঠিকাদার সংস্থাকে।অভিযোগ সেখানে গ্রামের তৃনমূলের বেশ কয়েকজন নির্মম ভাবে মহিলাকে পেটায় ,এবং ঐ মহিলা বর্তমানে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরথানার নন্দনপুর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু করে এক ঠিকাদার সংস্থা । এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মতো নন্দনপুর মোড় থেকে হাঁপুনিয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়।ঐ এলাকার বাসিন্দা অভিযোগকারী স্মৃতিকণা দাসের অভিযোগ তার জমির উপর দিয়ে নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকার জোর করে তাঁর বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা করছে । অভিযোগ কারি তাঁর বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা করতে বাধা দেওয়ায় অভিযোগ কারীকে নির্মম ভাবে হাত ,পা বেঁধে পেটানো হয় এবং সেই ভিডিও সোশাল সাইটে ছেড়ে দেয় ।সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই জেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।যদিও অভিযোগকারী মহিলা দাবি তৃণমূল কর্মীরা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত । অভিযোগকারী মহিলার বাড়ির লোকজন গঙ্গারামপুর থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ।
এই বিষয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মি সৃতিকনা দাস জানান আমার বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা করার সময় আমাকে বলা হয় বারো ফিট হবে কিন্তু আমি দেখি ২৪ ফিটের বেশি করছে ।সেই সময় আমি বলতে গেলে আমার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা বাধে এবং আমাকে খুব খারাপ ভাষায় গালি গালাজ করে এবং আমাকে লোহার রড দিয়ে মারধোর করে এমনকি আমার পা হাত বেধে দিয়ে রাস্তার ধারে একটি ঘরে ফেলে রেখে দেওয়া হয় ।আমাকে মারধোর করতে দেখে আমার দিদি এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে বলে অভিযোগ । আমার বাড়ির লোকজন এসে আমাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে ,বর্তমানে আমি গঙ্গারামপুর হাস্পাতাল্কে চিকিৎসাধীন ।
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান ঙ্গারামপুর থানার নন্দন পুর এলাকার বিজেপি কর্মী স্মৃতি কণা দাস কে তৃণমূল কর্মীরা খুব খারাপ ভাবে তাকে মারধর করে এবং ভিডিওতে যেটি দেখা যাচ্ছে আমাদের মহিলা কর্মির হাত পা বেধে টানতে টানতে নিয়ে আসে ।এই ধরনের আচরন তৃনমূল কর্মীরাই করতে পারে ।মধ্যযুগিও বর্বরতা আমরা ইতিহাসের পাতায় পরেছি । একজন মহিলার সাথে এরকম অমানবিক আচরন তৃনমূল কংগ্রেস করতে পারে ।পশ্চিম বঙ্গের মহিলাদের কি অবস্থায় আছে এদের দেখলে বোঝা যায় ।মমতা ব্যানারজির পতন যে ঘনিয়ে এশেছে টা বোঝায় জাচ্ছে ।
তৃনমূলের INTTUC জেলা সভাপতি মজিরুদ্দিন মণ্ডল জানান আমার জানা নেই ,এরকমের কোন ঘটনা হয় নি ।
Body:
বিজেপি মহিলা কর্মিকে মারধরের অভিযোগ তৃনমূল কংগ্রেসের উপ প্রধানের বিরুদ্ধে ।।
Conclusion:
বিজেপি মহিলা কর্মিকে মারধরের অভিযোগ তৃনমূল কংগ্রেসের উপ প্রধানের বিরুদ্ধে ।।
Last Updated : Feb 2, 2020, 10:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.