গঙ্গারামপুর, 2 ফেব্রুয়ারি : জায়গা দখল করে রাস্তা সংস্কারের কাজে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন । তাই BJP-র এক মহিলা সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান অমল সরকারের বিরুদ্ধে । ওই মহিলার পায়ে দড়ি বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় । এই অভিযোগ ওঠার পর অমল সরকারকে সাসপেন্ড করে দল । যদিও সাসপেনসনের কোনও চিঠি পাননি বলে দাবি করেন অমলবাবু ।
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় নন্দনপুর মোড় থেকে হাঁপুনিয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করে গঙ্গারামপুরের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত । কিন্তু, তাঁর জায়গার উপর দিয়ে জোর করে রাস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় মহিলা তৃপ্তি দে (নাম পরিবর্তিত) । এনিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানান । এমনকী, রাস্তা তৈরির কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে বাধা দেন । অভিযোগ, কাজে বাধা পেয়ে ওই মহিলার পা দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান তৃণমূল কর্মীরা । সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে । বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে ।
আক্রান্ত তৃপ্তি দে বলেন, "রাস্তা করার সময় বলা হয়েছিল ১২ ফুট করা হবে । কিন্তু দেখি ২৪ ফুটের বেশি করা হচ্ছে। সেই সময় আমি বলতে গেলে আমার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ওরা । গালিগালাজ শুরু করে । আমাকে লোহার রড দিয়ে মারা হয় । পা বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় । রাস্তার ধারে একটি ঘরে ফেলে রাখা হয়েছিল । আমার দিদি এগিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় । বাড়ির লোকজন এসে আমাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভরতি করে ।"
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বালুরঘাটের BJP সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "দলীয় ওই কর্মীকে তৃণমূল কর্মীরা খুব মারধর করেছে । এই ধরনের আচরণ তৃণমূল কর্মীরাই করতে পারে । মধ্যযুগীয় বর্বরতা আমরা ইতিহাসের পাতায় পড়েছি । একজন মহিলার সঙ্গে এরকম অমানবিক আচরণ তৃণমূল করতে পারে । পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা কী অবস্থায় আছেন এদের দেখলে বোঝা যায় । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন যে ঘনিয়ে এসেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে ।"
যদিও INTTUC-র জেলা সভাপতি মজিরুদ্দিন মণ্ডল বলেন, এরকম কোনও ঘটনা হয়নি ।