বালুরঘাট, 24 এপ্রিল: দিল্লি থেকে ফেরার এতদিন পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বালুরঘটের BJP সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের। এই প্রসঙ্গে আজ বালুরঘাট সদর মহকুমাশাসককে পালটা চিঠি দিলেন তিনি । যদিও প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় চিঠি হাতে পাননি বলে জানান সদর মহকুমাশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে হিলি সীমান্ত এলাকায় যাচ্ছিলেন BJP সাংসদ সুকান্ত মজুমদার । কিন্তু, মাঝপথে বালুরঘাট DAV স্কুলের সামনে তাঁকে আটকায় পুলিশ। আগে থেকেই ব্যারিকেড ছিল রাস্তায়। এরপর, তাঁকে কেন আটকানো হচ্ছে এই প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন BJP সাংসদ। ওই সময় ঘটনাস্থানে ছিলেন DSP হেড কোয়ার্টার ধীমান মিত্র, বালুরঘাট থানার IC গৌতম রায় সহ পুলিশ কর্মীরা। এদিকে কয়েকজন মহিলা সেখানে এসে সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। যদিও সেই বিক্ষোভ পুলিশ সামাল দেয়। এরপরই সদর মহকুমাশাসক সাংসদকে বাইরে বেরোতে না বলে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে সুকান্ত মজুমদারকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। মহাকুমাশাসকের দপ্তরের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাংসদ 8-10 জন সঙ্গী নিয়ে রাস্তায় জমায়েত করছিলেন। সেই অভিযোগেই তাঁকে হোম কোয়ারান্টাইনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ মহকুমা শাসককের সেই চিঠির পালটা চিঠি দিলেন সুকান্তবাবু।
এই বিষয়ে সুকান্তবাবু বলেন, "উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি 8-10 জন সঙ্গী নিয়ে যাচ্ছিলাম না। তা ছাড়া দিল্লি থেকে এসে 14 দিন হোম কোয়ারান্টাইনে ছিলাম। সে কথা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছিলাম । তবু আমাকে হোম কোয়ারান্টাইনের নির্দেশ দিচ্ছেন মহকুমাশাসক। তীব্র প্রতিবাদ জানাই। লকডাউন শেষ হলে বড়সড় আন্দোলনে নামব।"
এদিকে, এই বিষয়ে মহকুমাশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, "সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের বৈঠক নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। এখনও কোনও চিঠি হাতে পাইনি। চিঠি হাতে পাওয়ার পরই যা বলার বলব।"