বংশীহারি, 4 নভেম্বর: বংশীহারি ব্লকের বিডিও অফিস থেকে পুরনো কাগজপত্র বিক্রির সময় বেশকিছু নির্বাচনী ব্যালট ও কাগজপত্র বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠল ৷ শনিবার এই বিষয়টি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের নজরে আনেন স্থানীয় সাংবাদিকরা । এদিন যখন সাংবাদিকদের নজরে এই ঘটনাটি পড়ে ততক্ষণে ওই সমস্ত কাগজপত্র বান্ডিল বেঁধে গাড়িতে তোলা হয়ে গিয়েছে । সাংবাদিকরা এই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই তড়িঘড়ি গাড়ি থেকে সেই সমস্ত বান্ডিল নামিয়ে আবার গোডাউনে ভরে ফেলা হয় । এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিডিও জানান, পুরনো কাগজপত্রের মধ্যে মিশে ওই নির্বাচনী ব্যালট ও কাগজপত্রও চলে গিয়ে থাকতে পারে, তা নজরে আসতেই তড়িঘড়ি সেগুলিকে গাড়ি থেকে নামানো হয়।
রাজ্যে যখন কয়লা কেলেঙ্কারি, খাদ্য কেলেঙ্কারি নিয়ে সরগরম সেই সময় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারি ব্লকে সরকারি নথিও বিক্রির চেষ্টার ঘটনা ঘটল ৷ এমনই চিত্র ধরা পড়ল দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকে । অভিযোগ, এদিন যখন ওই কাগজপত্রগুলি গাড়িতে তোলা হচ্ছিল সেই সময়ে কোনও সরকারি আধিকারিক ট্রাকের কাছে উপস্থিত ছিলেন না । ওই কাগজগুলি লোড হওয়ার সময়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় 2013 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরের কাগজ ব্যালট পেপার সহ আরও প্রয়োজনীয় বেশকিছু কাগজপত্র সেই গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছে । পরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, 15 বছরের কম পুরনো কোনও কাগজ বা কোনও নথি বিক্রি করা যায় না । কিন্তু ব্লক আধিকারিকদের পক্ষ থেকে কীভাবে তা বিক্রি করা হচ্ছে সেই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।। তবে এই বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সরকারি নথি লোপাটের উদ্দেশ্যে এইসব কাগজপত্র বিক্রি করা হচ্ছে ।
এই বিষয়ে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সকিরুদ্দিন আহমেদ জানান, ব্লক অফিস থেকে এইভাবে কোন সরকারি নথি বিক্রি করা যায় না। এই ব্লকেও হয়তো প্রচুর দুর্নীতি রয়েছে সেই কারণেই হয়তো কাগজ গুলো বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে । এই বিষয়ে জাতীয় কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ভৌমিক জানান, কোনও সরকারি দফতরের কোনও নথি কোনওভাবেই বিক্রি করা যায় না । যদিও ইলেকশন কমিশনের কোনও কাগজপত্রই বিক্রি করা যায় না, তবে ইলেকশন কমিশনকে কাগজপত্রের ব্যবহার হয়ে গেলেই ইলেকশন কমিশনকে ফেরত দিতে হয় । তাই ওই কাগজগুলি ওখানে কী করে এল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷
আরও পড়ুন: এক বছরে 10 কোটি টাকা সম্পত্তি বৃদ্ধি শুভেন্দুর বাবার ! অধিকারী পরিবারকে নিশানা কুণালের
এই প্রসঙ্গে, বংশীহারির বিডিও সুব্রত বাউল জানান, বারাসাতের একটি সংস্থাকে 40 হাজার টাকার বিনিময়ে টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল সরকারি নিয়ম মেনেই। পনের বছরের পুরনো কাগজ টেন্ডার মারফত বিক্রি করা যায় সেই নিয়ম মেনেই কাগজ বিক্রি করা হয়েছে ৷ তবে কিছু নির্বাচনের কাগজ পুরনো কাগজের সঙ্গে চলে গিয়ে থাকতে পারে তা নজরে আসতেই তড়িঘড়ি গাড়ি থামিয়ে সেই কাগজ নামিয়ে নেওয়া হয় ৷