বালুরঘাট, 13 মে: ETV ভারতের খবরের জের। বালুরঘাট মাতৃসদন থেকে সরানো হচ্ছে কোয়ারানটিন সেন্টার। বুধবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে থেকে স্থানীয়দের ক্ষোভের বিষয়টি জানার পরই মাতৃসদন থেকে কোয়ারানটিন সেন্টার সরানোর জন্য মহকুমাশাসককে নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক। এদিন দুপুরে এমনটাই জানালেন জেলাশাসক নিখিল নির্মল। এদিকে ওই কোয়ারানটিন সেন্টার সরানোর খবর পেয়ে স্বস্তিতে স্থানীয় বাসিন্দারা।
কোরোনা মোকাবিলায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট 19 টি ফেসিলিটি কোয়ারানটিন সেন্টার খোলা হয়েছে। যার মধ্যে 8 টি ব্লকে 16 টি ও 3 টি পৌর এলাকায় 3 টি ফেসিলিটি কোয়ারানটিন সেন্টার রয়েছে। মূলত যাঁরা ভিনরাজ্য বা অন্য জেলা থেকে এই জেলায় ফিরছেন তাঁদেরকেই ফেসিলিটি কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। বালুরঘাট পৌর হাসপাতাল তথা মাতৃসদনেও খোলা হয়েছে ফেসিলিটি কোয়ারানটিন সেন্টার। তবে এতদিন মাতৃসদনে কাউকে রাখা হয়নি। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতেই বাসে করে ভিনরাজ্য থেকে বেশকিছু শ্রমিককে নিয়ে এসে রাখা হয় মাতৃসদনের কোয়ারানটিন সেন্টারে। তবে কতজনকে এবং কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁদের তা জানা যায়নি। এদিকে, রাতে বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে কোয়ারানটিন সেন্টার সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান তাঁরা। বুধবার সকালেও এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। এমনকী মাতৃসদনকে কোয়ারানটিন সেন্টার করা যাবে না বলে পোস্টার পরে। এদিকে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে পুলিশবাহিনী। পুলিশ বোঝানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয়রা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন। পরে দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর নিয়ে জেলাশাসক, সদর মহকুমা শাসক ও অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের লিখিতভাবে বিষয়টি জানান। কোয়ারানটিন সেন্টারটিকে মাতৃসদন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেন তাঁরা। গোটা বিষয়টি ETV ভারতের খবরে আসায় তা নজরে আসে জেলাশাসকের। এরপরই জেলা প্রশাসন মাতৃসদন থেকে কোয়ারানটিন সেন্টার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোয়ারানটিন সেন্টার করা যাবে না। এরপরও কী করে এই এলাকায় তা করা হল জানি না। সেন্টারটিকে সরানো হবে জেনে কিছুটা হলেও স্বস্তি বোধ করছি।
এই বিষয়ে জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানান, খবরটি আমি আজই জানতে পেরেছি। মহকুমা শাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ওখানে কোয়ারানটিন সেন্টার করা যাবে না। যাঁরা ওখানে রয়েছেন তাঁদেরকে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।