বালুরঘাট,20 জানুয়ারি : দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে কর্মবিরতিতে গেল সমস্ত কর্মচারীরা। জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি ললিতা টিক্কা হিসাব বহির্ভূতভাবে তেল তুলছেন সেই বিলে সই না করার কারণে কর্মচারীকে চড় মারার অভিযোগ। ঘটনায় জেলা পরিষদের সমস্ত কর্মীরা বুধবার এই মুহূর্তে কর্মবিরতি পালন করছেন এবং বাইরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করছে। কর্মীরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সেক্রেটারি কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে অথবা সঠিক বিচার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন কর্মচারীরা বলে জানান।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সহকারি সভাধিপতির কোনও গাড়ি অ্যালটমেন্ট নেই। তবুও নিজের ক্ষমতা বলে তিনি একটি গাড়ির ব্যবস্থা করিয়েছিলেন বাড়ি থেকে অফিস যাতায়াতের জন্য। রেজুলেশন করে মাসে 100 লিটার তেলের বরাদ্দ করা হয়। অভিযোগ, তিনি তার থেকে কয়েক গুণ বেশি তেল দাবি করেন। এই নিয়েই ব্যাপক উত্তেজনা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে। চাহিদা মত তেল না দেওয়ায় জেলা পরিষদের কর্মী নিশীথ রঞ্জন সরকারকে নিগ্রহ ও মারধর করার অভিযোগ ওঠে ৷ জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি লতিতা টিজ্ঞা আজ তেল চান এক কর্মীর কাছে। যেখানে ওই কর্মী 20 লিটারের তেলের স্লিপ দেন ৷ সেই স্লিপ না নিয়ে আরও বেশি স্লিপ দিতে হবে বলে জানান লতিতা টিজ্ঞা। বেশি তেলের স্লিপ না দেওয়ায় ওই কর্মীকে ঘরে নিয়ে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এবং তাকে টানতে টানতে চেয়ারে বসান ৷ এরপর চেয়ারে লাথি মেরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। জানা গেছে বালুরঘাট থেকে যাতায়াত করতে তার মাত্র 5 লিটার তেল পাবেন। সেখানে তার থেকে বেশি তেল চেয়েছেন। তা না দেওয়ায় ওই কর্মীকে নিগ্রহ করেন। এনিয়ে কর্ম বিরতিতে গেছেন জেলা পরিষদের কর্মীরা৷
আরও পড়ুন :এবার শুভেন্দুর মিছিল থেকে শোনা গেল 'দেশ কে গদ্দারো কো গোলি মারো'
জেলা পরিষদের এই বিষয়ে দায়িত্বে থাকা কর্মী নিশীথ রঞ্জন সরকার জানান, "সহকারি সভাধিপতিকে এই মাসে দু'বারে মোট 80 লিটার তেল দেওয়া হয়েছে। এ দিন আরও কুড়ি লিটার তেলের স্লিপ দেওয়া হয়। রেজুলেশন অনুযায়ী 100 লিটার তেল দেওয়ার পর উনি আরও তেল দাবি করেন। ওনাকে মিটিং করে বিষয়টি পাস করানোর কথা বলতেই, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ধাক্কাধাক্কি মারধর করেন।" দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মী সংগঠনের সদস্য দিলীপ দত্ত জানান," উচ্চ আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। জেলাপরিষদের সেক্রেটারি এবং সভাধিপতির কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত কর্মী নিগৃহর বিষয়ে সমাধান না হবে কোনও কর্মী জেলা পরিষদের কাজ করবেন না। আমরা কর্মবিরতি পালন করবো।" যদিও সভাধিপতি লিপিকা রায় বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন, তেল নিয়ে কর্মীর সঙ্গে উনি ধাক্কাধাক্কি করেছেন। তিনি জানান কর্মী ও সহকারি সভাধিপতিকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন। বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হবে। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।