ETV Bharat / state

কালিম্পঙের কোরোনা আক্রান্তের সঙ্গে বিমান যাত্রা, আইসোলেশনে বালুরঘাটের যুবতি - gangarampore

কালিম্পঙে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে তাঁর সঙ্গে একই বিমানে এসেছিলেন গঙ্গারামপুরের এক যুবতি । আজ তাঁকে ভরতি করা হল বালুরঘাটের কোরোনা হাসপাতালে।

Corona
সহযাত্রী যুবতিকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে
author img

By

Published : Apr 2, 2020, 10:58 PM IST


বালুরঘাট, 2 এপ্রিল: কালিম্পঙে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে তাঁর সঙ্গে একই বিমানে এসেছিলেন গঙ্গারামপুরের এক যুবতি । আজ তাঁকে ভরতি করা হল বালুরঘাটের কোরোনা হাসপাতালে। ওই যুবতি ওই মহিলার সঙ্গে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন। শুধু ওই যুবতি নয়, তাঁর বাবাকেও কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য বালুরঘাটের কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় 9 হাজার 473 জনকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।

গত রবিবার গভীর রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় উত্তরবঙ্গের প্রথম কোরোনা আক্রান্ত রোগীর। তিনি কালিম্পংয়ের বাসিন্দা। মেয়ের চিকিৎসার জন্য চেন্নাই গিয়েছিলেন তিনি। এরপর গত 19 মার্চ চেন্নাই থেকে বিমানে বাগডোগরায় আসেন। এদিকে আসার পর সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি হন। কোরোনার উপসর্গ থাকায় তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি কোরোনা আক্রান্ত। চিকিৎসা চলাকালীন গত রবিবার তিনি মারা যান। মৃত্যুর একদিন পর স্বাস্থ্যদপ্তর তাঁর বিমানের সহযাত্রীদের চিহ্নিত করে। ওই বিমানেই বাগডোগরা এসেছিলেন গঙ্গারামপুরের এক যুবতি । পড়াশোনার জন্য ওই যুবতি চেন্নাইয়ে থাকেন।

এই তথ্য পাওয়ার পরই বৃহস্পতিবার ওই যুবতি ও তাঁর বাবাকে বালুরঘাটের কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। যদিও তিনি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। তবে তাঁর সোয়াব রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চিন্তিত স্বাস্থ্য দপ্তর। ওই হাসপাতালে ওই যুবতির বাবাকেও রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরা ছাড়াও বেঙ্গালুরু ফেরত বালুরঘাটের এক যুবক ও কুমারগঞ্জের এক ব্যক্তিকে কোরোনা হাসপাতালে ভরতি রাখা হয়েছে।

বালুরঘাটের ডাঙ্গি এলাকা থেকে আরও একজন দুবাই ফেরত ব্যক্তিকে কোরোনা হাসপাতালে ভরতির জন্য নিয়ে আসে স্বাস্থ্য দপ্তর। কিছু দিন আগে ওই ব্যক্তি দুবাই থেকে বাড়ি ফেরেন। এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুকুমার দে জানান, এদের সোয়াব টেস্ট রিপোর্ট আসার পর এদের রোগের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানা সম্ভব হবে। ততদিন এদের নজরদারির জন্য নতুন কোরোনা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তবে জেলায় কোয়ারন্টাইনে রাখার সংখ্যা বাড়লেও এখনও পর্যন্ত কেউ কোরোনায় আক্রান্ত হয়নি বলে তিনি জানান। এদিকে বুধবার জেলার চারজনকে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন যাঁরা দিল্লির নিজ়ামউদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে ওই সব এলাকায় নতুন করে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই উঠছে অভিযোগ।


বালুরঘাট, 2 এপ্রিল: কালিম্পঙে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে তাঁর সঙ্গে একই বিমানে এসেছিলেন গঙ্গারামপুরের এক যুবতি । আজ তাঁকে ভরতি করা হল বালুরঘাটের কোরোনা হাসপাতালে। ওই যুবতি ওই মহিলার সঙ্গে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন। শুধু ওই যুবতি নয়, তাঁর বাবাকেও কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য বালুরঘাটের কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় 9 হাজার 473 জনকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।

গত রবিবার গভীর রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় উত্তরবঙ্গের প্রথম কোরোনা আক্রান্ত রোগীর। তিনি কালিম্পংয়ের বাসিন্দা। মেয়ের চিকিৎসার জন্য চেন্নাই গিয়েছিলেন তিনি। এরপর গত 19 মার্চ চেন্নাই থেকে বিমানে বাগডোগরায় আসেন। এদিকে আসার পর সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি হন। কোরোনার উপসর্গ থাকায় তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি কোরোনা আক্রান্ত। চিকিৎসা চলাকালীন গত রবিবার তিনি মারা যান। মৃত্যুর একদিন পর স্বাস্থ্যদপ্তর তাঁর বিমানের সহযাত্রীদের চিহ্নিত করে। ওই বিমানেই বাগডোগরা এসেছিলেন গঙ্গারামপুরের এক যুবতি । পড়াশোনার জন্য ওই যুবতি চেন্নাইয়ে থাকেন।

এই তথ্য পাওয়ার পরই বৃহস্পতিবার ওই যুবতি ও তাঁর বাবাকে বালুরঘাটের কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। যদিও তিনি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। তবে তাঁর সোয়াব রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চিন্তিত স্বাস্থ্য দপ্তর। ওই হাসপাতালে ওই যুবতির বাবাকেও রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরা ছাড়াও বেঙ্গালুরু ফেরত বালুরঘাটের এক যুবক ও কুমারগঞ্জের এক ব্যক্তিকে কোরোনা হাসপাতালে ভরতি রাখা হয়েছে।

বালুরঘাটের ডাঙ্গি এলাকা থেকে আরও একজন দুবাই ফেরত ব্যক্তিকে কোরোনা হাসপাতালে ভরতির জন্য নিয়ে আসে স্বাস্থ্য দপ্তর। কিছু দিন আগে ওই ব্যক্তি দুবাই থেকে বাড়ি ফেরেন। এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুকুমার দে জানান, এদের সোয়াব টেস্ট রিপোর্ট আসার পর এদের রোগের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানা সম্ভব হবে। ততদিন এদের নজরদারির জন্য নতুন কোরোনা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তবে জেলায় কোয়ারন্টাইনে রাখার সংখ্যা বাড়লেও এখনও পর্যন্ত কেউ কোরোনায় আক্রান্ত হয়নি বলে তিনি জানান। এদিকে বুধবার জেলার চারজনকে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন যাঁরা দিল্লির নিজ়ামউদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে ওই সব এলাকায় নতুন করে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই উঠছে অভিযোগ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.