বালুরঘাট, 7 এপ্রিল: বালুরঘাটে আগুনে পুড়ে গেল তিনটি বাড়ি ও চারটি দোকান। মশার কয়েল থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের। গতকাল গভীর রাতে বালুরঘাট ব্লকের বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণবাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। দমকলকর্মী ও স্থানীয় মানুষের প্ৰচেষ্টায় ঘণ্টা দেড়েক পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে পুড়ে যায় তিনটি বাড়ি, চারটি দোকান ও দুটি খড়ের গাদা। সব মিলিয়ে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে আগুনে হতাহতের কোনও খবর নেই।
বোল্লা পঞ্চায়েতের কৃষ্ণবাটি এলাকায় বাড়ি তাপস কর্মকার, সন্তোষ কর্মকার, পরিমল কর্মকার ও পরিতোষ কর্মকারের। সম্পর্কে তাঁরা ভাই। বাড়ির সঙ্গে রয়েছে তাঁদের লোহার দোকান। গতকাল রাত পৌনে একটার দিকে হঠাৎ আগুন লাগার বিষয়টি নজরে আসে পরিবারের। কর্মকার পরিবারের চিৎকারে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। হাওয়া থাকায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বাড়িতে। সবার প্রথমে আগুন লাগে তাপস কর্মকারের বাড়িতে। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পরিমল ও সন্তোষের বাড়িতে। একটু দূরে বাড়ি হওয়ায় অল্পের জন্য বেঁচে যান পরিতোষবাবু। এদিকে বাড়ি থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশে থাকা চারটি দোকানেই। মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে যায় চার ভাইয়ের চারটি লোহার দোকান। আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাড়ির পাশে থাকা দুটি খড়ের গাদায়। মুহূর্তের মধ্যেই সেগুলি পুড়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ও পতিরাম ফাঁড়ির পুলিশ। দমকলকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে সহযোগিতা করেন স্থানীয়রা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণই পুড়ে যায় তিনটি বাড়ি ও চারটি দোকানের সর্বস্ব। সব মিলিয়ে কয়েক লাখ টাকার জিনিস আগুনে পুড়ে গেছে। কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা।
এবিষয়ে প্রতিবেশী অজয় কর্মকার জানান, দমকলকর্মীরা আসার আগে থেকেই স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। অসহায় পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন তিনি।
এবিষয়ে বালুরঘাট দমকল কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক অনুমান মশার কয়েল থেকেই আগুন লেগেছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে তারা।