বালুরঘাট, 10 জানুয়ারি : মাদক পাচারের দায়ে বালুরঘাটের তৃণমূল নেতার 10 বছরের কারাদণ্ড ৷ আজ দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (তৃতীয় কোর্ট) কিষাণকুমার আগরওয়াল এই রায় ঘোষণা করেন । লগিন দাসের পাশাপাশি নারায়ণ যাদবকেও 10 বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক । পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয় । অনাদায়ে আরও দু'বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক । জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, লগিন দাসকে আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।
2018 সালে বালুরঘাটের তৃণমূল নেতা লগিন দাসকে গ্রেপ্তার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ । প্রসঙ্গত, লগিন দাস বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঁচ বছর কংগ্রেসের প্রধান ছিলেন । এরপর তিনি 2013 সালে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেন । তৃণমূলের টিকিটে পাঁচ বছর ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে ছিলেন লগিন দাস । এছাড়া, ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবেও দীর্ঘদিন ছিলেন । এক সময় দাপুটে ও প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা ছিলেন তিনি ।
অভিযোগ, 2018 সালে মাদক পাচার ও বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় লগিন দাস ও নারায়ণ যাদবকে গ্রেপ্তার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ । মামলা দায়ের হওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ । গতকাল বিচারক কিষাণকুমার আগরওয়াল অভিযুক্ত নারায়ণ যাদব ও লগিন দাসকে দোষীসাব্যস্ত করে । এবং আজ সেই মামলার রায় ঘোষণা করেন । এদিকে, লগিন দাসের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন মিথ্যে মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়েছে । আজ বিকেলে বালুরঘাট জেলা আদালত চত্বরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয় ।
এবিষয়ে বালুরঘাট আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রতুলকুমার মৈত্র বলেন, "অভিযুক্ত দু'জনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির 21 (সি) ও 27 (এ) ধারায় দোষীসাব্যস্ত করা হয় । 21 (সি) ধারায় 10 বছরের কারাদণ্ড ও 1 লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দু'বছর কারাদণ্ড । 27 (এ) ধারায় 10 বছরের কারাদণ্ড ও 1 লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দু'বছর কারকদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক ।" অন্যদিকে, লগিন দাসের স্ত্রী মনোরমা দাস বলেন, তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে । সবটাই চক্রান্ত করে করা হয়েছে । এমন কাজ তাঁর স্বামী কখনই করতে পারেন না ।