বারুইপুর, 24 জুন: চরম পাশবিক ! সেই সঙ্গে অমানবিকতার নিদর্শন বারুইপুরের মল্লিকপুরে। চুরির অপবাদ দিয়ে 17 বছরের নাবালিকা প্রেমিকাকে আটকে রেখে মারধর ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক ও তার মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পড়ে। তদন্তে মল্লিকপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, দেড় বছর আগে সোশাল মিডিয়ার দৌলতে অভিযুক্ত ছেলেটির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল মেয়েটির ৷ সেখান থেকেই বন্ধুত্ব তারপর প্রেম ৷ একদিন নির্যাতিতাকে অভিযুক্ত বাড়িতে ডাকে এবং জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে বলে অভিযোগ ৷ এরপর বাড়িতে ঘটনার কথা জানায় নির্যাতিতা ৷ পুলিশে খবর দিতে চাইলে, অভিযুক্ত ছেলেটি নির্যাতিতার কাছে ক্ষমা চায় ৷ এরপর দুই বাড়ি থেকেই সম্পর্ক মেনে নেয় ৷ কথা হয় বিয়েও করবে তারা ৷
কিছুদিন পর ছেলেটি বিয়ের কথা এড়িয়ে গেলে সম্পর্ক ভেঙে দেয় নির্যাতিতা ৷ অভিযোগ, এরপরেই অভিযুক্ত ছেলেটির মা মেয়েটিকে ফোন করে বাড়িতে ডাকে ৷ কিছু বুঝতে না-দিয়ে ভালো ব্যবহার করেন অভিযুক্তর মা ৷ নির্যাতিতাকে বাজার করার জন্য আলমারি থেকে টাকা বের করতে বলেন ৷ নির্যাতিতা বলেন, "আমি বুঝতে পারিনি আমাকে ফাঁসানোর জন্য ভিডিয়ো করা হচ্ছে ৷ আমাকে আলমারি থেকে টাকা বের করতে বলেন ছেলেটির মা ৷ টাকাটা বের করার পরেই ছেলেটি ফোন হাতে ঘরে ঢুকে আমাকে চোর বলতে থাকে ৷ আমি কিছু বোঝার আগেই চুলের মুঠি ধরে আমাকে মারতে থাকে ৷ এরপর রাস্তায় টেনে নিয়ে যায় ৷ সেখানে আমার চুল কেটে দেয় ৷"
নির্যাতিতা আরও বলেন, "এই ঘটনায় আমি পুলিশে অভিযোগ করেছি ৷ তবে, আমিও চাই রাস্তার মাঝখানে অভিযুক্ত ছেলেটি ও তার মায়ের চুল কেটে ভিডিয়ো বানিয়ে ভাইরাল করতে ৷ আমাকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, আমিও তার উত্তর দিতে চাই ৷"
আরও পড়ুন: প্রেমিকার সঙ্গে জ্যেঠিমাকে খুন করে পলাতক প্রাক্তন প্রেমিক, চাঞ্চল্য বিষ্ণুপুরে
ইতিমধ্যেই মল্লিকপুর ক্যাম্পের পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরেই তৎপর হয়েছে ৷ অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তবে এই ঘটনা সামনে আসাই হতবাক সাধারণ মানুষজন। যে সময় ওই নাবালিকার চুল কেটে দেওয়া হচ্ছিল সেই সময় একাধিক মানুষজন দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। কেউ বাধা দেয়নি বলেই অভিযোগ উঠছে। পুলিশ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তারও তদন্ত করছে মল্লিকপুর ফাঁড়ির পুলিশ।