ব্যারাকপুর, 15 অগাস্ট : কোরোনা উপসর্গ নিয়ে তিন তিনটে হাসপাতালের দরজায় ঘুরলেও ভরতি নিল না কেউ ৷ ফলে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু এক যুবকের ৷ অভিযোগ মৃত যুবকের পরিবারের সদস্য়দের ৷ উত্তর 24 পরগনার ব্যারাকপুর মোহনপুর বড় কাঁঠালিয়ার ওই যুবকের নাম দীপঙ্কর সিংহ রায় (29)। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি ।
পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে, দীপঙ্কর নার্ভের সমস্যায় ভুগছিল। চিকিৎসাও চলছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাকে ব্যারাকপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কোরোনা সন্দেহে সেখানে তাকে ভরতি নেওয়া হয়নি। এরপর যথাক্রমে ব্যারাকপুর পৌরসভা পরিচালিত হাসপাতাল ও ব্যারাকপুর বি এন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । অভিযোগ, ওই দুটি হাসপাতালই রোগীকে ফিরিয়ে দেয় ৷ এরপর সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রোগীর মৃত্যু হয় ৷
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার অভাবে দীপঙ্করের মৃত্যু হয়েছে । ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক উত্তম দাস অবশ্য ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ''মাতৃসদনে প্রসূতিদের চিকিৎসা হয় । কিন্তু অন্য নার্সিংহোম বা হাসপাতাল কেন এরকম আচরণ করল, আমি জানি না। আমার সঙ্গে রোগীর বাড়ির লোকেরা তখন যোগাযোগ করলে ভালো হত। আমি ঘটনাটি খতিয়ে দেখব।''
গত মাসে এভাবেই বিনা চিকিৎসায় শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ ৷ সেবার পাঁচ হাসপাতাল ঘুরেও শুভ্রজিৎ চিকিৎসা পায়নি বলে অভিযোগ । চিকিৎসা না পেয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় গোটা রাজ্যে তোলপাড় পড়ে যায় । কিন্তু তারপরও স্বাস্থ্যদপ্তরের টনক নড়েনি, আজকের ঘটনা তাই প্রমাণ করল বলে দাবি মৃত দীপঙ্করের পরিজনদের ৷