ETV Bharat / state

ধেয়ে আসছে যশ, উপকূলবর্তী এলাকা থেকে তিন লাখ মানুষকে অন্যত্র সরানোর তোড়জোড় - সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা

25 থেকে 26 মে'র মধ্যে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে যশ ৷ তার আগে বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি যাতে ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড না হয়ে যায় , সেজন্য প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক সারলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে যাতে সমস্ত প্রটোকল মেনে কাজ করা হয় , সেদিকেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি ৷

চলছে মাইকিং
চলছে মাইকিং
author img

By

Published : May 23, 2021, 8:03 AM IST

ক্যানিং, 23 মে : শনিবার দুপুরে দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিং মহকুমা ভবনে ঘূর্ণিঝড় যশ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস, জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল লাহিড়ী, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার অপূর্বলাল সরকার সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকগণ ।

যশ নিয়ে সরকারি যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে সেবিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে । পাশাপাশি কোভিডের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষদের সরিয়ে এনে রেসকিউ সেন্টার নিয়ে আসা নিয়েও দীর্ঘক্ষণ আলোচনা চলে । প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে প্রায় তিন লাখ মানুষকে সরিয়ে আনার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে । ফলে রেসকিউ সেন্টারগুলিতে চলছে স্যানিটাইজ়েশন ৷ এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করা, জলপথে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় । ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের বিভিন্ন ব্লকে বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করা হয়েছে ৷

যশ নিয়ে কী ব্যবস্থা নিলেন বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ?

সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানিয়েছেন, স্থলপথে,জলপথে ও আকাশপথে মাইকিং চলছে ৷ যেসব মৎস্যজীবীরা এখনও নদীতে ও সাগরে আছেন, তাঁদের দ্রুত ফিরে আসার জন্য বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে ৷ পাশাপাশি আমফানের সময় সুন্দরবনবাসীদের যে বিদ্যুৎ বিপর্যের মুখে পড়তে হয়েছিল , সেই বিপর্যয় যাতে আর না হয় , তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ অন্যদিকে করোনা পরিস্থিততে যাতে সমস্ত প্রটোকল মেনে কাজ করা হয় , সেদিকেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে ৷

আরও পড়ুন : যশের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে প্রস্তুতি সারছে পৌরসভাগুলি

2009 সালের 25 মে আয়লা,নভেম্বরে বুলবুল, 2020 সালের 20 মে আমফান, প্রতিটি ঘূর্ণঝড়ে সুন্দরবন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল । ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে ম্যানগ্রোভ অরণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । তবে বর্তমানে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল সুন্দরবন । আর সেই সময় ফের যশের তান্ডবে সুন্দরবন যাতে তছনছ না হয়ে যায় , সেবিষয়েই আগাম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ৷

ক্যানিং, 23 মে : শনিবার দুপুরে দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিং মহকুমা ভবনে ঘূর্ণিঝড় যশ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস, জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল লাহিড়ী, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার অপূর্বলাল সরকার সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকগণ ।

যশ নিয়ে সরকারি যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে সেবিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে । পাশাপাশি কোভিডের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষদের সরিয়ে এনে রেসকিউ সেন্টার নিয়ে আসা নিয়েও দীর্ঘক্ষণ আলোচনা চলে । প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে প্রায় তিন লাখ মানুষকে সরিয়ে আনার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে । ফলে রেসকিউ সেন্টারগুলিতে চলছে স্যানিটাইজ়েশন ৷ এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করা, জলপথে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় । ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের বিভিন্ন ব্লকে বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করা হয়েছে ৷

যশ নিয়ে কী ব্যবস্থা নিলেন বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ?

সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানিয়েছেন, স্থলপথে,জলপথে ও আকাশপথে মাইকিং চলছে ৷ যেসব মৎস্যজীবীরা এখনও নদীতে ও সাগরে আছেন, তাঁদের দ্রুত ফিরে আসার জন্য বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে ৷ পাশাপাশি আমফানের সময় সুন্দরবনবাসীদের যে বিদ্যুৎ বিপর্যের মুখে পড়তে হয়েছিল , সেই বিপর্যয় যাতে আর না হয় , তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ অন্যদিকে করোনা পরিস্থিততে যাতে সমস্ত প্রটোকল মেনে কাজ করা হয় , সেদিকেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে ৷

আরও পড়ুন : যশের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে প্রস্তুতি সারছে পৌরসভাগুলি

2009 সালের 25 মে আয়লা,নভেম্বরে বুলবুল, 2020 সালের 20 মে আমফান, প্রতিটি ঘূর্ণঝড়ে সুন্দরবন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল । ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে ম্যানগ্রোভ অরণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । তবে বর্তমানে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল সুন্দরবন । আর সেই সময় ফের যশের তান্ডবে সুন্দরবন যাতে তছনছ না হয়ে যায় , সেবিষয়েই আগাম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.