দক্ষিণ 24 পরগনা, 7 মার্চ : ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফের দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ভাঙড়ে ৷ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইএসএফের কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ৷ ভাঙড়ের গাছতলা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় 7 জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা থাকায় ভাঙড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ৷
সংযুক্ত মোর্চার ব্রিগেড সভায় তৃণমূলকে বাংলার রাজনীতি থেকে মুছে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আইএসএফের প্রধান তথা ফুরফুরা শরিফের অন্যতম পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ৷ তাঁর সেই হুঁশিয়ারির ফলই হয়তো দেখা গেল ভাঙড়ে ৷ আইএসএফের প্রচারে দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল ভাঙড়ের গাছতলা ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ বিকেলে গাছতলা এলাকায় আইএসএফের প্রচারে দেওয়াল লিখন চলছিল ৷ সেই সময় ভাঙড় 1নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাদল মোল্লার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী আইএসএফের কর্মীদের উপর হামলা চালায় ৷ লাঠি-রড নিয়ে বেধড়ক মারা হয় আইএসএফের কর্মীদের ৷ পাল্টা তৃণমূলের ওই কর্মীদের উপরেও হামলা চালায় আইএসএফের সদস্যরা ৷ ঘটনায় দু’পক্ষের অন্তত 7 জন আহত হয়েছেন ৷ আহতদের মধ্যে 5 জন আইএসএফ কর্মী বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন : বিজেপির দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ায় উত্তেজনা তমলুকে
আইএসএফ এবং তৃণমূলের সংঘর্ষের খবর পেয়েই এলাকায় ভাঙড় থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী পাঠানো হয় সেখানে ৷ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও, এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে ৷ তাই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ৷ গোটা এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে তারা ৷ এ নিয়ে ভাঙড়ে আইএসএফের নেতা মন্টু শিকারি বলেন, আজ দেওয়াল লিখনের সময় তৃণমূলের যুবনেতার নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী তাদের কর্মীদের উপর চড়াও হয় ৷ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে, গ্রেফতার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি ৷ তবে, যার বিরুদ্ধে এই হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সেই বাদল মোল্লার দাবি, এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনওরকম যোগ নেই ৷ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, আইএসএফ এলাকার দেওয়াল দখল করে পার্টির প্রচার করছিল ৷ সেই প্রচারের সময় স্থানীয়দের লাগাতার বিরক্ত করছিল আইএসএফের কর্মীরা ৷ তারই প্রতিবাদে স্থানীয়রা আইএসএফের কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে ৷ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সামান্য উত্তেজনা ছড়িয়েছে ৷