নামখানা, 29 অগস্ট: সুন্দরবনের এলাকাবাসীদের কাছে যেন বাংলার সেই অতি পরিচিত প্রবাদ সর্বদাই বিরাজমান। 'নদীর ধারে বাস চিন্তা বারো মাস'। প্রতিবছর বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। কখনও ঘূর্ণিঝড় আমফান, কখনও যশ, কখনও বা নদী বা সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছ্বাস। বিপদ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না উপকূল তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। সামনেই পূর্ণিমার ভরা কোটালের আতঙ্কে এখন রাতের ঘুম কেড়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার নামখানা ব্লকের মদনগঞ্জ এলাকার বাসিন্দাদের।
আতঙ্কের অন্যতম নাম পূর্ণিমার ভরা কটাল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নামখানার হাতানিয়া, দোয়ানিয়া নদীর তীরে মদনগঞ্জ এলাকার কয়েকশো মিটার নদীবাঁধের বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনওরকম সুরাও হয়নি, বর্তমানে সরু নদীবাঁধের জরাজীর্ণ অবস্থা। এমনকী নদীতে কোনও পণ্যবাহী জাহাজ গেলে সেই জাহাজের থেকে তৈরি হওয়া ঢেউয়ের জেরে বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। বেহাল নদী বাঁধের কারণে আতঙ্কে রয়েছেন প্রায় কয়েকশো গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন: 'চুরি করা বন্ধ করতে হবে,' বেহাল নদীবাঁধ পরিদর্শনে এসে বললেন সুকান্ত
গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, সামনে পূর্ণিমার ভরা কোটাল আর এই ভরা কোটালে নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা দেবে ৷ আর এই প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে নদীবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পার্বতী ভুইয়াঁ নামের এক গ্রামবাসী বলেন, "আমরা ইতিমধ্যে আতঙ্কে রয়েছি ৷ আতঙ্কের জেরে বারবার নদীবাঁধে এসে পাহারা দিচ্ছি আমরা।" এ বিষয়ে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস বলেন, "ওই এলাকার নদীবাঁধের বেহাল দশা রয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই বাঁধ নির্মাণের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ওই নদীবাঁধ সংস্কার করা হবে।"
গ্রামবাসীদের এও অভিযোগ তুলেছেন, বিগত কয়েক দশক ধরে শাসকদলের লোকেরা এলাকায় আসছেন এবং নদীবাঁধ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ হয়নি।
আরও পড়ুন: বেহাল নদীবাঁধ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন গ্রামবাসী