নরেন্দ্রপুর, 20 মে: তারা যমজ ভাই ৷ দু‘জনের মধ্যে মিলমিশও আছে বেশ ৷ দু‘জনের ইচ্ছেও এক ৷ তারা চায় চিকিৎসক হতে ৷ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে দু’জনেই ৷ 698 নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করছে অনীশ বারুই আর 687 নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছে অনীক বারুই ৷ দুই ছেলের এই সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত পরিবারের লোকজনও ৷ ছোট থেকেই মেধাবী এই দুই ভাই মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করেছে ৷ জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার দুই সন্তানের সাফল্যে স্বভাবতই খুশি মা ।
অনীশ ও অনীক জানায়, পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের ফুটবল খেলতে ভালো লাগে ৷ তাই পড়ার ফাঁকে সময় পেলেই মাঠে যেত তারা । তবে মাঠের আকর্ষণ যতই থাক না কেন, প্রতিদিন প্রায় 10 থেকে 12 ঘণ্টা পড়ত দুই ভাই । স্কুলের সমস্ত পরীক্ষায় চিরকাল ভালো ফল করেছে ওরা । ওদের নিয়ে সকলেই আশায় বুক বাঁধছেন ৷ পরিবার থেকে শুরু করে পরিচিতদের আশা আগামিদিনে সকলের মুখ উজ্জ্বল করবে এই দুই ভাই। দুই ভাইয়ের লক্ষ্য, চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করা ৷ তাদের সাফল্য়ে খুশি নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ মহারাজ । তাঁর দাবি, পরীক্ষার জন্য তাঁরা একটু অন্যরকমভাবে ছাত্রদের পড়িয়ে ছিলেন। বিষয় ধরে ধরে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল। তাতেই এই সাফল্য এসেছে ৷
আরও পডু়ন: দারিদ্রতাকে সঙ্গী করেই অটোচালকের ছেলে মাধ্যমিকে দশম
এই বছর মাধ্যমিকের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল 23 ফেব্রুয়ারি ৷ 76 দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ৷ চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বেশ ভালো ফল করেছে ৷ জেলার মধ্যে মোট 13 জন মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান অধিকার করেছে । তাদের মধ্য়ে 12 জন পড়ুয়াই নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ৷
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যুগ্মভাবে ষষ্ঠ হয়েছেন অনীক বারুই ও সুতীর্থ পাল ৷ মেধা তালিকায় সপ্তম স্থানে আছে অদৃজ গুপ্ত, অষ্টম হয়েছ শিবম মণ্ডল ৷ এছড়াও দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, আরিয়ান গোস্বামী, অর্কপ্রভ জানা নবম স্থান অধিকার করেছে ৷ দশম স্থানে আছেন শমীক মাহাতো, সাগ্নিক মন্ডল, রফিত রানা লস্কর ও রুদ্রনীল দাস ৷