ক্যানিং, 15 জুলাই: পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও হিংসার বিরাম নেই ৷ গভীর রাতে তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে ৷ জখম তৃণমূল কর্মীকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ নিহতের নাম নান্টু গাজি ৷ তিনি শাসক দলের বুথ সভাপতি ছিলেন ৷ শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিং থানার ইটখোলা পঞ্চায়েতের তেঁতুলতলা সংলগ্ন সাতমুখী গাজীপাড়ায় ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ ৷ তবে পুরনো শত্রুতার কারণে এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয়ী হয়েছে ৷ তাই শুক্রবার এলাকায় বিজয় উৎসব চলে ৷ এদিন বিকেলে ইটখোলা গ্রামপঞ্চায়েতের 242 নম্বর গাজীপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি নান্টু গাজি সাতমুখী বাজারে গিয়েছিলেন ৷ রাত নটার সময় তিনি বাড়িতে ফিরছিলেন ৷ অভিযোগ, সেই সময় তেঁতুলতলা এলাকার 10-12 দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে ৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় ৷ পাশাপাশি সাহিনা গাজি নামেও আরেক মহিলাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন: সমাজবিরোধীদের 'রক্ষাকবচ' দিচ্ছেন বিচারপতি ! অভিষেকের নিশানায় হাইকোর্ট
এদিকে রাতে বাড়ি না-ফেরায় নান্টু গাজির পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুঁজতে বের হয় ৷ রাত দুটো নাগাদ নান্টু গাজি ও ওই মহিলাকে তেঁতুলতলা গাজিপাড়া এলাকায় রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় । তড়িঘড়ি তাঁদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পরেশ রাম দাসও জানিয়েছেন, নান্টু গাজির শ্বশুরকে কয়েকদিন আগে খুন করা হয় ৷ সেই মামলায় সাক্ষী ছিলেন নান্টু গাজি ৷ তাই তাঁকে খুন করা হতে পারে, এমন আশঙ্কা করছিলেন তৃণমূল বিধায়ক ৷ শ্বশুরকে যাঁরা খুন করেছিলেন, তাঁরাই নান্টু গাজিকেও খুন করেছিলেন বলে দাবি করেন বিধায়ক ৷
আরও পড়ুন: তৃণমূল পার্টি অফিসে বোমা, অভিযুক্ত জয়ী নির্দল প্রার্থী
তৃণমূলের ওই বুথ সভাপতির হাতে, পিঠে, গলা-সহ দেহের বিভিন্ন জায়গায় গভীর ক্ষত হওয়ায় রক্তের স্রোত বইতে থাকে ৷ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন ৷ সেখানেই মৃত্যু হয় নান্টু গাজির ৷ অন্যদিকে, জখম সাহিনা গাজি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷ প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য শাহজাহান গাজির দাবি, এলাকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে মুছে ফেলার চক্রান্ত করেই বুথ সভাপতিকে কুপিয়েছে আইএসএফ কর্মীরা ।