কাকদ্বীপ, 5 নভেম্বর: সালটা ছিল 2009, সেই সময় দক্ষিণ 24 পরগনার ঢোলাহাট থানা এলাকায় খুন হন এক সিপিএম নেতা । আর এই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় পাথরপ্রতিমার বিধায়কের ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা মহিম উদ্দিন মোল্লার। আর এই ঘটনার এত বছর পর এই অন্যতম অভিযুক্ত দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পাথর প্রতিমা ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মহিম উদ্দিন মোল্লা রবিবার সকালে ঢোলাহট থানাতে আত্মসমর্পণ করেন । পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ ঢোলাহাট থানার পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইপিসির 302, 120বি ও 34 ধারাতে মামলা রুজু করেছে ৷ অভিযুক্তকে এদিন কাকদ্বীপ আদলতে পেশ করা হয় ।
এই বিষয়ে পাথরপ্রতিমার সিপিএম নেতা সত্যরঞ্জন দাস জানান, 2009 সালে খুন হন সিপিএম নেতা রফিক মোল্লা । এই খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা মহিম উদ্দিন মোল্লা। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি ৷ এরপর 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে আসার পর এলাকায় ফেরেন ওই অভিযুক্ত। এরপর পাথরপ্রতিমার বিধায়কের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন ওই তৃণমূল নেতা । পরে তিনি পাথরপ্রতিমা পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের সদস্যও হন ৷
এরপর 2019 সালে পাথরপ্রতিমা এলাকায় খুন হন আরেক সিপিএম নেতা । অভিযোগ, এই খুনের পিছনে হাত ছিল তৃণমূলের। অভিযুক্তদের তৃণমূলের তরফে দীর্ঘদিন ধরে আড়াল করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ ৷ অবশেষে রফিক মোল্লা খুনে ওই মূল অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেছেন ৷ সিপিএম নেতৃত্ব ওই তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে ৷
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতা খুন, ছত্তিশগড়-নির্বাচন ঘিরে মাওবাদী হামলার আশঙ্কা!
অন্যদিকে সুন্দরবন তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার জানান, পারিবারিক শত্রুতার জেরে ওই খুনের ঘটনা ঘটে । ঘটনাটিতে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে বিরোধীরা । এই খুনের ঘটনায় সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয় । আইন আইনের পথে চলবে দোষীরা শাস্তি পাবে।