বাসন্তী, 5 সেপ্টেম্বর : তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাসন্তী । জখম দু'পক্ষের চারজন । তাঁদের মধ্যে তিনজনকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় । ঘটনাটি বাসন্তী থানার চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটরাখালি এলাকার । খবর পেয়ে প্রথমে বাসন্তী থানার বিশাল পুলিশ ঘটনাস্থানে যায় । পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে SDPO ক্যানিং দেবীদয়াল কুণ্ডু ঘটনাস্থানে যান । এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।
বাসন্তীতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নতুন কিছু নয় । গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের অনুগামীদের সঙ্গে যুব তৃণমূল কর্মীদের প্রায়শই সংঘাত হয় । যদিও বিধায়ক তাতে আমল দিতে নারাজ । এবারও তিনি গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ মানতেই চাননি ।
যুব তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, গতকাল গ্রামের পাঁচ যুবক বাইকে করে ক্যানিংয়ের দিকে যাচ্ছিলেন । তাঁরাও যুব কর্মী । কোটরাখালির কাছে তাঁদের পথ আটকায় জয়ন্ত নস্করের লোকজন । লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় । গুরুতর জখম অবস্থায় তিনজনকে ক্যানিং হাসপাতালে পাঠানো হয় । এর মধ্যে কুতুবুদ্দিন খানের অবস্থা আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় ।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, "কয়েকজন দুষ্কৃতী যুব তৃণমূলের নাম করে এলাকায় কর্মী, সমর্থকদের ভয় দেখাচ্ছিল । তা নিয়ে দু'পক্ষের ঝামেলা হয়েছে । পুলিশকে বলেছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ।"
বিধায়ক যুব তৃণমূলের বিরুদ্ধে দোষ চাপালেও গ্রামবাসীরা মানতে নারাজ । পারুল খান নামে এক মহিলার বক্তব্য, "সব ঘটনার মূলে জয়ন্ত নস্কর । ওঁর অনুগামীরাই যুব কর্মীদের মেরেছে । সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে । এরকমই করে । আমরা আতঙ্কে ভুগছি । জানি না এরপর কী হবে ।"
এই ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে । অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।