কলকাতা, 1 জানুয়ারি : এবার গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের পরিষেবায় থাকছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও ই-স্নানের ব্যবস্থা । গঙ্গাসাগরের সার্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা । আগামী সোমবার মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগরে যাবেন গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে । যাতে পুণ্যার্থীদের সামান্যতম অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসনকে ।
কপিল মুনির আশ্রম সাগরদ্বীপে অনুষ্ঠিত হয় গঙ্গাসাগর মেলা । আগামী 8 থেকে 18 জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে । সাগরদ্বীপে ক্রমেই বাড়ছে পুণ্যার্থীদের ভিড় । এবছরে প্রচুর পুণ্যার্থীদের সমাগম হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন । এপ্রসঙ্গে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার DM ড. পি উলাঙ্গানাথন বলেন, "এই প্রথমবার এয়ার ও ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়া হবে । 2টি এয়ার ও 4টি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি বিশেষ প্রয়োজনের জন্য 1টি হেলিকপ্টার সর্বক্ষণ থাকবে, সঙ্গে থাকবে ফ্লাইং স্কয়্যাডের 6টি দল ।"
তিনি আরও জানান, এবছর ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় পরিষেবার ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছে মেলায় । তার মধ্যে একটি হল ই-স্নান । যাঁরা গঙ্গাসাগরে গিয়ে পুণ্যস্নান করতে পারবেন না তাঁরা গঙ্গাসাগরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে 'লাইভ গঙ্গাসাগর' অনুষ্ঠানটি দেখতে দেখতে নিজের বাড়িতে বসে গঙ্গা জলে স্নান করতে পারেন । 12টি স্যাটেলাইট ফোন, 150টি ম্যানপ্যাক ও WIFI কলিং ব্যবস্থা থাকবে । কোনও গাড়ি বা বাস বিকল হয়ে গেলেও সেগুলিকে সরানোর জন্য 10টি ব্রেকডাউন ভ্যান রাখা হয়েছে ।
পুণ্যস্নানের সময় বিভিন্ন দুর্ঘটনা এড়াতে 70জন ডিপ ডাইভার (ডুবুরি) মোতায়েন করা হবে । সমুদ্র ও সৈকত আবর্জনামুক্ত রাখতে ফ্লোটিং ট্রাস ও ডব্রিস কন্ট্রোল সল্যুশন দল রাখা হবে । অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাতেও রয়েছে নতুনত্বের ছোঁয়া । ফায়ারবলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । 11টি অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন, 12টি মোবাইল ফায়ার স্টেশন, 22টি ফায়ার বল এবং প্রচুর ফায়ার ফাইটার মোতায়েন করা হবে মেলায় । এমনকী, হোগলা পাতায় ছাওয়া এলাকায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হচ্ছে ।