কুলতলি, 23 মে : কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ প্রত্যেক বছর নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামগুলি প্লাবিত হয় ৷ গতবছর আমফানের দাপটে বাঁধ ভেঙে ভেসেছিল মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর গ্রামটি ৷ গৃহহীন হয়ে গিয়েছিল গোটা গ্রাম ৷ ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল গ্রামটি ৷ কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের যশের পূর্বাভাস ৷ তাই সরকারের ভরসায় বসে না থেকে কোমর বেঁধে নদীবাঁধ সারাইয়ের কাজে নামলেন গ্রামবাসী ৷
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে 26 মে যশের আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা ৷ সেইমতো প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতা শুরু হয়েছে ৷ যশের দাপটে যাতে ক্ষয়ক্ষতি ভয়াবহ আকার ধারণ না করে , সেই প্রেক্ষিতে জেলাস্তরেও শুরু হয়েছে তৎপরতা ৷ কিন্তু সংশ্লিষ্ট গ্রামের ছবিটা অন্যরকম ৷ যদিও সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে বাঁধ সারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে ৷ কিন্তু এই শিয়রে সংক্রান্তির সময় তা যথেষ্ট নয় ৷ সেইজন্য নিজেরাই তৎপর হয়ে বাঁধ সারানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন তাঁরা ৷
এবিষয়ে গ্রামবাসী আব্দুল্লাহ ঢালি বলেন, "এই গ্রামের পাশ দিয়ে ঠাকুরান নদীর শাখানদী মাকড়ি বয়ে গিয়েছে ৷ বন্যার সময় প্রত্যেক বছরই গ্রাম ভেসে যায় ৷ গতবছর আমফানের সময়ও নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল ৷ সেই বাঁধ সারাইয়ের কাজ অনেক দেরিতে শুরু হয় ৷ তাই আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই কাজে হাত লাগিয়েছি ৷ "
আরও পড়ুন : যশের আগে কী কী প্রস্তুতি, আজ বৈঠকে মোদি