ETV Bharat / state

সাপে ছোবল মেরেছিল, ওঝার ঝাড়ফুঁকে মৃত্যু কিশোরীর - family approached exorcist

সাপে ছোবল মেরেছিল কিশোরীকে ৷ পরিবারের লোকজন হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে পাশের গ্রামের ওঝার কাছে নিয়ে যায় ৷হাসপাতালে পৌঁছাতে পৌঁছাতে মৃত্যু হয় কিশোরীর৷ দক্ষিণ 24 পরগনার বাসন্তীর জয়গোপালপুরের ঘটনা ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 13, 2019, 5:34 PM IST

Updated : Aug 13, 2019, 8:44 PM IST

বাসন্তী, 13 অগাস্ট : ঘুমন্ত অবস্থায় পায়ে ছোবল মারে সাপ ৷ পরিবারের লোকজন হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে পাশের গ্রামের ওঝার দ্বারস্থ হন ৷ সেখানে ঘণ্টা দুয়েক চলে ঝাড়ফুঁক ৷ পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে ৷ মৃত্যু হয় বছর তেরোর রিমি মণ্ডলের ৷ ঘটনাটি বাসন্তীর জয়গোপালপুরের ৷

গতরাতে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিল কিশোরী ৷ সেই সময় একটি কালাচ সাপ তার পায়ে ছোবল মারে ৷ সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ওঠে রিমি ৷ পরিবারের লোকজন তাকে পাশের গ্রামের এক ওঝার কাছে নিয়ে যায় ৷ সেখানে ওষুধ খাইয়ে ঘণ্টা দুয়েক চলে ঝাড়ফুঁক । কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে ৷ শেষমেশ কিশোরীকে বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে থেকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়৷ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷

দেখুন ভিডিয়ো

এ বিষয়ে, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক সমর রায় বলেন, "সাপে ছোবল মারার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাঁচানো সম্ভব হত কিশোরীকে ৷ কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁকের ফলে মৃত্যু হয় ওর ৷ নানা সংগঠনের মাধ্যমে ওঝাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরও ঝাড়ফুঁকের অছিলায় রোগীদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখছে তারা ৷ যদি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা দায়িত্ব নিয়ে এলাকার লোকজনতে সচেতন করেন, তাহলে সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে ।"

বাসন্তী, 13 অগাস্ট : ঘুমন্ত অবস্থায় পায়ে ছোবল মারে সাপ ৷ পরিবারের লোকজন হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে পাশের গ্রামের ওঝার দ্বারস্থ হন ৷ সেখানে ঘণ্টা দুয়েক চলে ঝাড়ফুঁক ৷ পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে ৷ মৃত্যু হয় বছর তেরোর রিমি মণ্ডলের ৷ ঘটনাটি বাসন্তীর জয়গোপালপুরের ৷

গতরাতে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিল কিশোরী ৷ সেই সময় একটি কালাচ সাপ তার পায়ে ছোবল মারে ৷ সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ওঠে রিমি ৷ পরিবারের লোকজন তাকে পাশের গ্রামের এক ওঝার কাছে নিয়ে যায় ৷ সেখানে ওষুধ খাইয়ে ঘণ্টা দুয়েক চলে ঝাড়ফুঁক । কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে ৷ শেষমেশ কিশোরীকে বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে থেকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়৷ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷

দেখুন ভিডিয়ো

এ বিষয়ে, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক সমর রায় বলেন, "সাপে ছোবল মারার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাঁচানো সম্ভব হত কিশোরীকে ৷ কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁকের ফলে মৃত্যু হয় ওর ৷ নানা সংগঠনের মাধ্যমে ওঝাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরও ঝাড়ফুঁকের অছিলায় রোগীদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখছে তারা ৷ যদি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা দায়িত্ব নিয়ে এলাকার লোকজনতে সচেতন করেন, তাহলে সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে ।"

Intro:ওঝার কেরামতিতে সাপের কামড়ে মৃত্যু হলো সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার জয়গোপাল পুর এলাকার ঘটনা। মৃত ছাত্রীর নাম রিমি মন্ডল( ১৩)। স্থানীয় জ্যোতিষ পুর হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল রিমি। অভিযোগ গতকাল রাতে নিজের বাড়িতে ঘুমাচ্ছিল রিমি। গভীর রাতে একটি কালাচ সাপ কামরায় তাঁর পায়ে। সাপের কামড়ে ঘুম ভেঙে চিৎকার করে ওঠে রিমি। অভিযোগ পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যায় পাশের গ্রামে একটি ওঝার কাছে ।সেখানে ওষুধ খাইয়ে প্রায় দুঘন্টা ধরে চলে ঝাড়ফুঁক। অবশেষে ধীরেধীরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সকালে বাসন্তী গ্রামীন হাসপাতাল এ নিয়ে আসা হয়। সেখানে থেকে তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অবশেষে ক্যানিং হাসপাতালে ওই ছাত্রীটির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পরিবার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পরে। Body:ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ডাক্তার সমর রায় জানান ওই ছাত্রীর সাপে কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাঁচানো সম্ভব হত কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁকের ফলে মৃত্যুমুখে ঢলে পড়ে। বিভিন্ন সংঘটনের মাধ্যমে ওঝা দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর ও সাপে কামড়ের পর তারা ঝাড়ফুঁকের অছিলায় দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখছে ফলে সাপে কাটা রুগী মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে।Conclusion:তিনি আরো জানান স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা এলাকায় দায়িত্ব নিয়ে সচেতন করলে ও মৃত্যুর মুখে থেকে বাঁচানো সম্ভব সাধারণ মানুষদের।
Last Updated : Aug 13, 2019, 8:44 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.