বাসন্তী, 13 অগাস্ট : ঘুমন্ত অবস্থায় পায়ে ছোবল মারে সাপ ৷ পরিবারের লোকজন হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে পাশের গ্রামের ওঝার দ্বারস্থ হন ৷ সেখানে ঘণ্টা দুয়েক চলে ঝাড়ফুঁক ৷ পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে ৷ মৃত্যু হয় বছর তেরোর রিমি মণ্ডলের ৷ ঘটনাটি বাসন্তীর জয়গোপালপুরের ৷
গতরাতে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিল কিশোরী ৷ সেই সময় একটি কালাচ সাপ তার পায়ে ছোবল মারে ৷ সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ওঠে রিমি ৷ পরিবারের লোকজন তাকে পাশের গ্রামের এক ওঝার কাছে নিয়ে যায় ৷ সেখানে ওষুধ খাইয়ে ঘণ্টা দুয়েক চলে ঝাড়ফুঁক । কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে ৷ শেষমেশ কিশোরীকে বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে থেকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়৷ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷
এ বিষয়ে, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক সমর রায় বলেন, "সাপে ছোবল মারার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাঁচানো সম্ভব হত কিশোরীকে ৷ কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁকের ফলে মৃত্যু হয় ওর ৷ নানা সংগঠনের মাধ্যমে ওঝাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরও ঝাড়ফুঁকের অছিলায় রোগীদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখছে তারা ৷ যদি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা দায়িত্ব নিয়ে এলাকার লোকজনতে সচেতন করেন, তাহলে সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে ।"