কলকাতা, 28 অক্টোবর: বেআইনি নিয়োগ মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় প্রায় 269 জন চাকরিরত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে । সেই নির্দেশ শোনার পরেই আত্মহত্যা করেন ওই লিস্টে থাকা এক শিক্ষক (History Teacher Died by Suicide) ।
জানা গিয়েছে, সোনারপুরের বাসিন্দা সৌরভ মিদ্যা ডায়মন্ড হারবারের একটি স্কুলে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন (Teacher Recruitment Scam) । নবম-দশম শ্রেণির ইতিহাস বিভাগের শিক্ষকতা করেছেন তিনি । তবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই তাঁর চাকরি চলে যায় । তার পরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ওই শিক্ষক (Teacher Died by Suicide) ।
আরও পড়ুন: বেআইনি শিক্ষক নিয়োগ মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকদের তলব হাইকোর্টের
বছর 36-এর সৌরভ বিয়ে করেছিলেন এক বছর আগে । বর্তমানে তাঁর বাড়িতে রয়েছেন তাঁর বয়স্ক মা, বাবা ও স্ত্রী । 2019 সাল থেকে লক্ষ্মীকান্তপুরের একটি সরকারি স্কুলে চাকরি করছিলেন তিনি । প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চাকরি করেছেন । স্থানীয় সূত্রে খবর, শান্ত স্বভাবের ছিলেন সৌরভ । তবে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি চলে যাওয়ার পর তিনি ক্রমেই চুপচাপ হয়ে পড়েন ।
আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এবার চাকরি খোয়ালেন মুর্শিদাবাদের সিদ্দিক গাজি
ইদানিং পাড়ার কারও সঙ্গেই কথা বলতে দেখা যেত না তাঁকে । তারপরে আচমকা ভাইফোঁটার সন্ধ্যায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন সৌরভ । স্থানীয় সূত্রের খবর, আত্মহত্যা করার পরে সুইসাইড নোট তিনি লিখে দিয়েছেন, 'মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়' । তবে আদৌ এই কারণেই তিনি মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন নাকি এর নেপথ্যে থেকে অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গতমাসে হাইকোর্টে সিবিআইয়ের তরফে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয় ৷ সেখানে জানানো হয়েছে, স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পর্যায়ে চাকরিতে মেধাতালিকায় এমন 8 হাজার জনের নাম রয়েছে, যাঁরা একটি বা দু’টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কিংবা সাদা খাতা জমা দিয়েছেন ৷
এই আট হাজারের মধ্যে কারা সুপারিশপত্র এবং নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি । সিবিআই রিপোর্টে বলা হয়েছে , নবম-দশমে 952 জন, একাদশ-দ্বাদশে 907 জন, গ্রুপ-সি 3481 জন এবং গ্রুপ-ডি পর্যায়ে 2823 জন ওএমআর জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন । সব মিলিয়ে সংখ্যাটা 8 হাজারের বেশি ৷