সুন্দরবন (দক্ষিণ 24 পরগনা), 4 ফেব্রুয়ারি : সুন্দরবনের নদীগুলিতে স্থায়ী বাঁধ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয়রা ৷ আজ ‘সুন্দরবন নদী বাঁধ ও জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটি’র নেতৃত্বে গোসাবা, কুলতলি, ক্যানিং, পাথরপ্রতিমা, সাগর ও রায়দিঘি ব্লকের ভাঙন কবলিত এলাকাগুলিতে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা ৷
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবনের আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না সুন্দরবনবাসীর। উপকূলবর্তী নদীগুলিতে স্থায়ী বাঁধ না থাকায়, ইতিমধ্যেই নদী গর্ভে চলে গিয়েছে বহু মানুষের বাড়িঘর ও চাষের জমি ৷ ঘরবাড়ি চাষের জমি হারিয়ে অসহায় দিনযাপন করছেন সুন্দরবনের মৎস্যজীবী পরিবারগুলি। এমনকি ভাঙনের জেরে সুন্দরবনের দ্বীপগুলির অস্তিত্বও সঙ্কটে। সুন্দরবন এলাকায় মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন হলেও, উপকূলবর্তী এলাকার নদীগুলিতে স্থায়ী বাঁধ তৈরি না হওয়ায় ক্ষোভ বেড়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে । শীতের সময় নদী ও সমুদ্রে ঢেউয়ের দাপট কম থাকে। তাই এই মরসুমে স্থায়ী বাঁধ তৈরির দাবিতে সুন্দরবনের বাসিন্দাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল 'সুন্দরবন নদী বাঁধ ও জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটি'। বৃহস্পতিবার গোসাবা, কুলতলি, ক্যানিং, পাথরপ্রতিমা, সাগর ও রায়দিঘি ব্লকের ভাঙন কবলিত এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। বিক্ষোভকারীরা আওয়াজ তোলেন, ‘‘বর্ষায় অর্থ অপচয় করে দুর্বল নদী বাঁধ নয়।’’
আরও পড়ুন : নিজেদের বাঁধ নিজেরা সারিয়ে নেব : কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়
এদিনের বিক্ষোভ নিয়ে সুন্দরবন নদী বাঁধ ও জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটি'র সদস্য সুজিত পাত্র বলেন, ‘‘বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার ঘটনার স্থায়ী সমাধান চায় সুন্দরবনের মানুষ। আমরা চাই কংক্রিটের বাঁধ তৈরি হোক। না হলে আগামী দিন হাজার হাজার অসহায় মানুষকে ঘরছাড়া হতে হবে। একাধিক বার প্রশাসন ও সেচ দপ্তরকে স্থায়ী বাঁধ তৈরির আবেদন জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। তাই আজ সুন্দরবন জুড়ে বিক্ষোভে নেমেছে মানুষজন।’’