সাগর, 9 মে: ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোকা । বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূল অভিমুখ ঘূর্ণিঝড় মোকার । নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে । ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আগে ও পরে দু-দু’বার গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে মোকা । আবহাওয়াবিদের মতে ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাব পড়তে পারে এই রাজ্যের উপকূল তীরবর্তী অঞ্চল গুলিতেও । মঙ্গলবার দক্ষিণ 24 পরগনা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা সাগর ব্লকের নদীবাঁধ গুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের উপকূল তীরবর্তী অঞ্চলগুলিতে জারি করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকা-র সতর্কতা । ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলাতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন ৷ সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী ব্লক গুলিতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম । বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত করার করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । মঙ্গলবার সাগর ব্লকের বিডিও অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম । পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীদের সঙ্গে নিয়ে মহড়া দিয়েছেন সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল ।
ইতিমধ্যেই সাগরের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঘোড়ামারাতে স্থানীয় বিডিওর পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী । মোকার প্রভাবে পর্যটকদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে । আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সমুদ্র ও তীরবর্তী এলাকায় পর্যকটকদের যাতাযাতে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে । মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে ৷ ভেসেল না চালানোর পরামর্শ আবহাওয়া দফতরের । বড় জাহাজ চলাচলের উপরও নিয়ন্ত্রণের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এদিন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা তিনি বলেন, "ঘূর্ণিঝড় মোকার মোকাবিলা করতে সবরকম ভাবে প্রস্তুত রাজ্য ও প্রশাসন ৷ ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে সতর্ক করা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে খুলে দেওয়া হয়েছে ফ্লাড সেন্টারগুলি । মজুত রাখা হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী ও শুকনো খাবার । সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ উপকূল তীরবর্তী এলাকার বেহাল নদী বাঁধগুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ চালানো হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোকার অভিমুখ এখনও অজানা, বঙ্গে ফিরছে গরম
এদিকে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার নদী বাঁধ পরিদর্শন করাকে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা অরুণাভ দাস ৷ তিনি জানান, কোনওরকম বিপর্যয় এলে মাটির নদী বাঁধগুলি পরিদর্শন করতে যান সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী ৷ কিন্তু সারা বছর কেটে গেলেও এই মাটির নদীবাঁধ গুলি মেরামতি করার জন্য উদ্যোগী হয় না রাজ্যের সেচ দফতর । বিপর্যয় এলে মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেয় এই সরকার। মোকার গতিপথের ওপর নজর রাখছে আবহাওয়াবিদরা । যদিও মোকা সরাসরি বাংলার উপর আঘাত না হানলেও, মোকা-র প্রভাব পড়তে পারে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ।