ETV Bharat / state

Student Tortured in Usthi Hostel : পর্নে আসক্তি থেকে সহপাঠীকে যৌন নিগ্রহ, জেরায় জানাল উস্থির হস্টেলের ধৃত ছাত্র - উস্থির ছাত্রাবাসে কিশোরকে যৌন নিগ্রহ

উস্থির ছাত্রাবাসে কিশোরকে যৌননিগ্রহের ঘটনায়, নির্যাতিতের সহপাঠীকে আটক করেছে পুলিশ (A Student Arrested for Sexual Abuse to His Classmate in Usthi Hostel) ৷ 30 মার্চের ঘটনায় ধৃত ছাত্রই ওই অপরাধ করেছে বলে পুলিশের কাছে শিকার করেছে ৷ তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে ৷

A Student Arrested for Sexual Abuse to His Classmate in Usthi Hostel
A Student Arrested for Sexual Abuse to His Classmate in Usthi Hostel
author img

By

Published : Apr 6, 2022, 10:58 AM IST

উস্থি, 6 এপ্রিল : উস্থির ছাত্রাবাসে নাবালককে যৌন নিগ্রহকাণ্ডে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে নির্যাতিতের সহপাঠীকে (A Student Arrested for Sexual Abuse to His Classmate in Usthi Hostel) ৷ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ৷ প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ধৃত কিশোর রোজ রাতে পর্নোগ্রাফি দেখত ৷ সেই থেকেই অভিযুক্ত কিশোরের এই বিকৃত মানসিকতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ অভিযুক্ত কিশোর জানিয়েছে, সে একাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৷ তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে ৷

পুলিশ ছাত্রাবাসের বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পরেছে, নির্যাতিত কিশোর অত্যন্ত মেধাবী ৷ তবে, সে বাকিদের থেকে শারীরিক ভাবে খানিকটা দুর্বল ৷ ফলে ছাত্রাবাসের বাকি ছাত্ররাও তাকে উত্যক্ত করত ৷ ঘটনার রাতে অর্থাৎ 30 মার্চ উস্থির ওই মিশনারী স্কুলে ছাত্রাবাসের ঘরে ঠিক কী ঘটেছিল ? তাও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ৷

জানা যাচ্ছে, ওই রাতে আবাসনের বাকি আবাসিকরা ঘুমিয়ে পড়ার পরেই এই ঘটনা ঘটায় অভিযুক্ত ছাত্র (Student Tortured in Usthi Hostel) ৷ নির্যাতিত কিশোরের ঠিক পাশের শয্যাটি তার ছিল ৷ অনেক রাতে অভিযুক্ত নির্যাতিত কিশোরের বিছানায় যায় ৷ ঘুম ভেঙে যায় নির্যাতিতর ৷ তখন অভিযুক্ত কিশোর তার গলা চেপে ধরে বলে অভিযোগ ৷ ফলে সে কোনও আওয়াজ করতে পারেনি ৷ এর পর তাকে যৌন নিগ্রহ করা হয়। কিন্তু, কেউ জেগে পড়তে পারে, এই ভয়ে অভিযুক্ত নিজের বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে ৷ কিছুক্ষণ পর নির্যাতিত কিশোরের যন্ত্রণায় চিৎকার করতে শুরু করলে ঘুম ভেঙে যায় বাকিদের ৷ ছাত্রদের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় ওয়ার্ডেনেরও ৷

আরও পড়ুন : Student Tortured in Hostel : উস্তির হস্টেলে অমানবিক নির্যাতনের শিকার 14 বছরের ছাত্র

নির্যাতিত কিশোরের শয্যার কাছে গিয়ে দেখা যায়, তার নাক, কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে এবং মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে তাকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে পাঠানো হয় ৷ সেখান অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ এবং সেখান থেকে এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানেই এই মুহূর্তে আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন রয়েছে নির্যাতিত কিশোর ৷ এমআরআই রিপোর্টে তার শিরদাঁড়ায় আঘাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ গলায় কালশিটে দাগ রয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান কিশোরের শ্বাসরোধ করার চেষ্টা হয়েছিল ৷ তার মস্তিষ্কে, কানে, নাকে এবং যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে ৷ শারীরিক ক্ষতের পাশাপাশি মানসিকভাবেও গভীর আঘাত পেয়েছে সে ৷ ফলে কোনও কথাই বলতে পারছে না নির্যাতিত কিশোর ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে তদন্তে নেমে ওয়ার্ডেনের উপর সন্দেহ হয়েছিল পুলিশের ৷ কিন্তু, ওয়ার্ডেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি ৷ এর পর ছাত্রাবাসের বাকি আবাসিকদের আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ৷ সেই জিজ্ঞাসাবাদে এক ছাত্রের কথায় অসংগতি লক্ষ্য করেন তদন্তকারীরা ৷ এর পর তাকে আরও খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ভেঙে পড়ে সে ৷ পুলিশের সামনে নিজের অপরাধ স্বীকার করে ৷ জানায়, রাতে মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখত সে ৷ সেখান থেকে এই বিকৃত যৌনলালসা তৈরি হয় তার ৷ যার শিকার হয় ছাত্রাবাসের সবচেয়ে নিরীহ ছাত্রটি ৷ অভিযুক্ত ছাত্র আগেও এমন কোনও কাণ্ড ঘটিয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ এই মুহূর্তে অভিযুক্তকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে ৷

উস্থি, 6 এপ্রিল : উস্থির ছাত্রাবাসে নাবালককে যৌন নিগ্রহকাণ্ডে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে নির্যাতিতের সহপাঠীকে (A Student Arrested for Sexual Abuse to His Classmate in Usthi Hostel) ৷ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ৷ প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ধৃত কিশোর রোজ রাতে পর্নোগ্রাফি দেখত ৷ সেই থেকেই অভিযুক্ত কিশোরের এই বিকৃত মানসিকতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ অভিযুক্ত কিশোর জানিয়েছে, সে একাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৷ তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে ৷

পুলিশ ছাত্রাবাসের বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পরেছে, নির্যাতিত কিশোর অত্যন্ত মেধাবী ৷ তবে, সে বাকিদের থেকে শারীরিক ভাবে খানিকটা দুর্বল ৷ ফলে ছাত্রাবাসের বাকি ছাত্ররাও তাকে উত্যক্ত করত ৷ ঘটনার রাতে অর্থাৎ 30 মার্চ উস্থির ওই মিশনারী স্কুলে ছাত্রাবাসের ঘরে ঠিক কী ঘটেছিল ? তাও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ৷

জানা যাচ্ছে, ওই রাতে আবাসনের বাকি আবাসিকরা ঘুমিয়ে পড়ার পরেই এই ঘটনা ঘটায় অভিযুক্ত ছাত্র (Student Tortured in Usthi Hostel) ৷ নির্যাতিত কিশোরের ঠিক পাশের শয্যাটি তার ছিল ৷ অনেক রাতে অভিযুক্ত নির্যাতিত কিশোরের বিছানায় যায় ৷ ঘুম ভেঙে যায় নির্যাতিতর ৷ তখন অভিযুক্ত কিশোর তার গলা চেপে ধরে বলে অভিযোগ ৷ ফলে সে কোনও আওয়াজ করতে পারেনি ৷ এর পর তাকে যৌন নিগ্রহ করা হয়। কিন্তু, কেউ জেগে পড়তে পারে, এই ভয়ে অভিযুক্ত নিজের বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে ৷ কিছুক্ষণ পর নির্যাতিত কিশোরের যন্ত্রণায় চিৎকার করতে শুরু করলে ঘুম ভেঙে যায় বাকিদের ৷ ছাত্রদের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় ওয়ার্ডেনেরও ৷

আরও পড়ুন : Student Tortured in Hostel : উস্তির হস্টেলে অমানবিক নির্যাতনের শিকার 14 বছরের ছাত্র

নির্যাতিত কিশোরের শয্যার কাছে গিয়ে দেখা যায়, তার নাক, কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে এবং মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে তাকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে পাঠানো হয় ৷ সেখান অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ এবং সেখান থেকে এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানেই এই মুহূর্তে আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন রয়েছে নির্যাতিত কিশোর ৷ এমআরআই রিপোর্টে তার শিরদাঁড়ায় আঘাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ গলায় কালশিটে দাগ রয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান কিশোরের শ্বাসরোধ করার চেষ্টা হয়েছিল ৷ তার মস্তিষ্কে, কানে, নাকে এবং যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে ৷ শারীরিক ক্ষতের পাশাপাশি মানসিকভাবেও গভীর আঘাত পেয়েছে সে ৷ ফলে কোনও কথাই বলতে পারছে না নির্যাতিত কিশোর ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে তদন্তে নেমে ওয়ার্ডেনের উপর সন্দেহ হয়েছিল পুলিশের ৷ কিন্তু, ওয়ার্ডেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি ৷ এর পর ছাত্রাবাসের বাকি আবাসিকদের আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ৷ সেই জিজ্ঞাসাবাদে এক ছাত্রের কথায় অসংগতি লক্ষ্য করেন তদন্তকারীরা ৷ এর পর তাকে আরও খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ভেঙে পড়ে সে ৷ পুলিশের সামনে নিজের অপরাধ স্বীকার করে ৷ জানায়, রাতে মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখত সে ৷ সেখান থেকে এই বিকৃত যৌনলালসা তৈরি হয় তার ৷ যার শিকার হয় ছাত্রাবাসের সবচেয়ে নিরীহ ছাত্রটি ৷ অভিযুক্ত ছাত্র আগেও এমন কোনও কাণ্ড ঘটিয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ এই মুহূর্তে অভিযুক্তকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.