কুলতলি (দক্ষিণ 24 পরগনা), 13 মে: শক্তিবৃদ্ধি করে ক্রমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। চরম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে 14 মে, রবিবার দুপুরে মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের কাছাকাছি আছড়ে পড়বে। বাংলাদেশের কক্সবাজার, মহেশখালি, টেকনাফ সেন্ট, মার্টিন দ্বীপ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর পরোক্ষ প্রভাব পড়বে বাংলায়। উপকূলে শনিবার অর্থাৎ আজ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বইবে হালকা বাতাস। সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। সোমবার থেকে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা।
মোকার আগাম সতর্কতা হিসেবে আজ সকাল থেকে দক্ষিণ 24 পরগনার সুন্দরবনের উপকূল এলাকার থানাগুলোয় মাইকে করে প্রচার শুরু হয়েছে। সকাল থেকে কুলতলি থানার কৈখালী, মাতলা নদীতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে মকড্রিল হয়েছে। নদী উপকূল এলাকার গ্রামের বাসিন্দাদের সাবধান করা হচ্ছে। কুলতলি ব্লক প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে শুকনো খাবার, ত্রিপল মজুত করা হয়েছে বলে খবর। সুন্দরবনের প্রতিটি এলাকায় বিশেষ নজরদারি করছে প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। ব্লক প্রশাসন ও জাতীয় বিপর্যয় বাহিনীর পক্ষ থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে চলছে মাইকিং। উপকূল তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য খোলা হয়েছে ফ্লাড সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক কর্মী দিলীপ কীর্তনীয়া বলেন, "ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে আমরা উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি।"
আরও পড়ুন: অসহ্য গরম থেকে মিলবে রেহাই! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বঙ্গে
তিনি আরও বলেন, "যদিও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তেমন একটা পড়বে না বাংলাতে ৷ কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সেরে ফেলা হয়েছে ৷ রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ। এলাকার সাধারণ মানুষদের সতর্ককরণ করার কাজ আমরা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে।" উল্লেখ্য, আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকা বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের ক্যায়ুকপিউয়ের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে ঘণ্টায় 150 থেকে 160 কিলোমিটার গতিবেগে তা আছড়ে পড়তে পারে।