ভাঙড়, 20 মার্চ: দিনকয়েক আগেই ফুরফুরা শরিফের (Fur Fura Sharif) এক পীরজাদাকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে থানাতে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। এবার সেই শওকতই (Shawkat Molla) এখন পালটা তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন। এক্ষেত্রে অবশ্য়ই তিনি কাঠগড়ায় তুলেছেন আইএসএফ-কে।
তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে, এই মর্মে কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ে করেছেন শওকত। তাঁর দাবি, বস্তাবন্দি করে তাঁকে খালে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷ এক্ষেত্রে শওকত মোল্লা নির্দিষ্টভাবে তিন জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সূত্রের খবর, এই তিন জনেরই বাড়ি কাশীপুর থানা (Kashipore Police Station) এলাকায়।
জেলমুক্তির পর গত 11 মার্চ ভাঙড়ে আসেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Nawsad Siddiqi)। শওকত মোল্লার অভিযোগ, সেই সময় আইএসএফের কিছু কর্মী-সমর্থকরা তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। পাশাপাশি তাঁকে বস্তাবন্দি করে ভাঙড়ের খালে ফেলে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় বলে তাঁর অভিযোগ। নওশাদের প্রত্যক্ষ মদতেই আইএসএফের কর্মীরা তাঁকে খুন করার চক্রান্ত করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শওকত। ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ।
পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে শওকত জানিয়েছেন, একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন আইএসএফ কর্মী সংবাদ মাধ্য়মের সামনে প্রকাশ্য়ে বলছে, শওকত মোল্লা ভাঙড়ে এলে তাঁকে বস্তাবন্দি করে ঘটকপুকুরের খালে ফেলে দেওয়া হবে। শওকতের দাবি, "আমার মনে হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর প্ররোচনাতেই প্রকাশ্যে আমাকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে । আমি যে কোনও সময় এদের হাতে খুন হওয়ার আশঙ্কাবোধ করছি। আমার আবেদন এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।"
আরও পড়ুন: বহু প্রভাবশালীকে বিশেষ সুবিধা, বিনিময়ে পৌর-বরাত পেতেন অয়ন !
এ প্রসঙ্গে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “যে ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর বক্তব্য আমি মিডিয়ার মাধ্যমে শুনলাম। তবে আইএসএফ এ ধরণের কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। উপযুক্ত তদন্ত হওয়া উচিত।” অন্য়দিকে তৃণমূল নেতা খয়রুল ইসলাম বলেন, "ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। আমরা চাই প্রশাসন এই ঘটনার সঠিক তদন্ত শুরু করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।" অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ ৷