গঙ্গাসাগর, 20 ফেব্রুয়ারি: স্কুলে অনিয়মিত প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে বাকি শিক্ষিকারা ৷ ফলে স্কুল ছেড়ে চলে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। ফলত বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে স্কুল ৷ এমনই ছবি ধরা পরল দক্ষিণ 24 পরগনার গঙ্গাসাগরের সাগর খান সাহেব আবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের রামকরচড় মায়াপুর জুনিয়র হাই স্কুলে। গত একবছর ধরে এমনভাবেই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে এই জুনিয়র হাই স্কুল। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন মণ্ডল নিয়মিত স্কুলে আসেন না ৷ যে কারণেই আস্তে আস্তে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকে এবং একসময় পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল ।
জানা গিয়েছে, প্রথমে 75 জন ছাত্র নিয়ে শুরু হয়েছিল এই স্কুল ৷ সেখানে নিয়মিত ছাত্রছাত্রীরাও আসত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী মনোরঞ্জন মণ্ডল। কিন্তু নিয়মিত প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসেন না বলে অভিযোগ ৷ যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকে ৷ কেউ কেউ আবার আশপাশের বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি হয়ে যায় ৷ শিক্ষকের অভাবে ছাত্র কমতে কমতে একসময় তা শূন্যতে গিয়ে ঠেকে ৷ তারপর গত একবছর আগে বন্ধ হয়ে যায় জুনিয়ার হাই স্কুল (School Closed due to lack of teacher)।
অন্যদিকে এই ঘটনায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি । তবে ওই এলাকারই ঢিলছোড়া দূরত্বে রয়েছে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরার বাড়ি ৷ তিনি জানান, এই বিষয়টি নিয়ে ডিআই-এর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, দীর্ঘ এক বছর ধরে প্রধান শিক্ষক স্কুলে না-এসেও ঘরে বসে বসে বেতন নিচ্ছেন ৷ অথচ শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে স্কুল । ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ৷
আর এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতৃত্ব ৷ তাদের মতে, শাসকদলের মদতপুষ্ট ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ৷ তাই স্কুলে না-এসেও দিনের পর দিন তিনি মাইনে পাচ্ছেন ৷ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে শাসকদল তৃণমূল একেবারে ভেঙে ফেলেছে । তবে কী শিক্ষার আলো পৌঁছবে না সাগরে? কবে রামকরচর মায়াপুর জুনিয়র হাই স্কুলের তালা খুলবে, কবে ছাত্রছাত্রীরা আবারও আসবে এই স্কুলে ৷ অপেক্ষায় এলাকাবাসীরা ।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের অভাবে 6 মাস বন্ধ বাঁকুড়ার স্কুল, সমস্যায় পড়ুয়ারা