দক্ষিণ 24 পরগনা, 26 অক্টোবর : প্রায় দু’বছর হল রাজ্যের সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি বন্ধ ৷ বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে স্কুলের গেটই খোলা হয়নি করোনার জেরে হওয়া লকডাউনের সময় থেকে ৷ রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী 16 অক্টোবর থেকে খুলছে স্কুল ৷ আর তাই শুরু হয়েছে স্কুল সংস্কারের কাজ ৷ এমনই ছবি দেখা গেল সুন্দরবন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ৷ বিশেষ করে গত দু’বছরে দু’টি ঘূর্ণিঝড় এবং একাধিক বন্যার ধাক্কা সামলানো সুন্দরবনের স্কুলগুলির অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ ৷
2020 সালের মে মাসে প্রথমে ঘূর্ণিঝড় আমফানের ধাক্কা ৷ প্রথমবার রাজ্যের উপকূল দিয়ে সরাসরি স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল এই সুপার সাইক্লোন ৷ সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই এ বছর এপ্রিল মাসে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ৷ যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছিল রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ৷ সেই সঙ্গে ভরা কোটালের জেরে ভেসে গিয়েছিল সুন্দরবনের প্রায় প্রতিটি দ্বীপ অঞ্চল ৷ সুন্দরবন অঞ্চলের তেমনই একটি স্কুল সাগরের বামনখালি মধুসূদন প্যারিমোহন পঞ্চানন মাল্টি পারপাস স্কুল ৷ গত দু’বছরে ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ওই স্কুলের ৷ স্কুলের বাইরে যেমন আগাছায় ভরে গিয়েছে, তেমনি ঝড়ে উড়ে গিয়েছে ছাউনি ৷ এই পরিস্থিতিতে আগামী মাসে স্কুল খুলবে ৷ তাই শুরু হয়েছে স্কুল সংস্কারের কাজ ৷
আরও পড়ুন : School Reopening : ঘোড়া চুরির পর আস্তাবলে নজর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তে কটাক্ষ এসএফআই নেতা সৃজনের
একই অবস্থা সুন্দরবনের রায়দিঘির কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের ৷ গত দু’বছর ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় জঙ্গল তৈরি হয়েছে স্কুলের বাইরে ৷ আগাছায় ঢেকেছে স্কুল চত্বর ৷ আজ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নজরদারিতে শুরু হয়ে সাফাইয়ের কাজ ৷ সেই সঙ্গে ক্লাসরুমগুলিতে চলছে স্যানিটাইজেশন ৷ আগামী কয়েকদিনেও স্যানিটাইজেশন চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি ৷
আরও পড়ুন : School Open : নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে 16 নভেম্বর থেকে স্কুল খোলার প্রস্তুতি
অন্যদিকে, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর পঠনপাঠন শুরু হতে চলেছে ৷ এই ঘোষণা হওয়ার পর খুশি অভিভাবকরা ৷ বাড়িতে থেকে রোজের এক রুটিন মেনে চলতে গিয়ে একঘেয়েমি চলে এসেছিল পড়ুয়াদের মধ্যেও ৷ তারাও এবার স্কুলের পরিবেশে ফিরে কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারবে বলেই মনে করছেন অভিভাবকরা ৷ তবে, স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিভাবকদের আবেদন, করোনাবিধি মেনে অল্প সংখ্যক পড়ুয়াদের নিয়ে ভাগ করে যাতে পড়াশোনা শুরু হয় ৷ যাতে সংক্রমণের ভয় না থাকে ৷