বারুইপুর, 14 নভেম্বর: জয়নগরে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্করকে তিনি মারেননি ৷ শুধুমাত্র সঙ্গে ছিলেন ৷ সইফুদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন গণপিটুনিতে মৃত সাহাবুদ্দিন লস্কর ৷ আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতের বাইরে এমনটাই দাবি করলেন ঘটনায় ধৃত শাহরুল শেখ ৷ সেই সঙ্গে আরও একজনের নাম সামনে আনলেন তিনি ৷ জানালেন, নাসিরের নির্দেশে এই খুন করেছেন তাঁরা ৷ কিন্তু, কে এই নাসির ? প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে শুধু বললেন, ‘বড়ভাই’ ৷ এ দিন বিচারক শাহরুলকে 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷
মঙ্গলবার দুপুরে শাহরুল শেখকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ সেখানে পুলিশ তাঁর 14 দিনের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল ৷ তবে, বিচারক শাহরুলকে 10 দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান ৷ সেই সঙ্গে সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা-সহ একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ এ দিন আদালত থেকে বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমে শাহরুল দাবি করেছেন, ‘‘আমি গুলি চালাইনি ৷ গুলি চালিয়েছিল সাহাবুদ্দিন ৷ আর খুনের নির্দেশ দিয়েছিলেন নাসির ৷’’ তবে, কে এই নাসির ? তা এখনও জানা যায়নি ৷ শাহরুলকে জেরায় এই নাসির ওরফে বড়ভাইয়ের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে ৷
নাসির ওরফে এই বড় ভাই কী ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ? কী কারণে এই সুপারি ? এমন একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে এই মামলার তদন্তে ৷ সইফুদ্দিন খুনে এখন পলাতক এই নাসির-সহ তিনজন ৷ তাঁদের সকলের খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় 1 লক্ষ টাকা করে দু’বারে মোট 2 লক্ষ টাকা সুপারি কিলারকে দেওয়া হয়েছে ৷ তবে, পুরো বিষয়টি এখনও তদন্ত সাপেক্ষ ৷ শাহরুলকে হেফাজতে নিয়ে একে একে সব তথ্য জানাই লক্ষ্য তদন্তকারীদের ৷
উল্লেখ্য, সোমবার তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিনকে খুনের আগে টানা চারবার রেকি করেছিলেন শাহরুল শেখ ৷ সেই মতো ভোরবেলা নমাজ পড়তে যাওয়ার সময়টাই বেছে নেয় দুষ্কৃতীরা ৷ বাইকে করে পাঁচজন দুষ্কৃতী সইফুদ্দিনের পিছন থেকে আসে ৷ তাঁর সামনে গিয়ে গুলি চালানো হয় ৷ সেই সময় স্থানীয়রা আততায়ীদের ধাওয়া করেন ৷ তিনজন বাইক নিয়ে পালিয়ে গেলেও শাহরুল এবং সাহাবুদ্দিন ধরা পড়ে যায় ৷ জনরোষ গিয়ে পড়ে সাহাবুদ্দিনের উপর ৷ গণপিটুনিতে প্রাণ হারান সাহাবুদ্দিন ৷ শাহরুলকেও মারধর করা হয় ৷ কিন্তু, পুলিশ এসে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি ৷
আরও পড়ুন: