সাগর, 11 অগস্ট: নদীর ধারে বাস চিন্তা বারো মাস । একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় নদী বাঁধ ভেঙে এলাকায় প্রবেশ করেছিল নদীর নোনা জল । নষ্ট হয়েছিল বিঘের পর বিঘে চাষের জমি । সর্বস্ব হারিয়ে ফ্লাড সেন্টারে আশ্রয় নিতে হয়েছিল গ্রামবাসীদের । তারপরে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস কিন্তু মাটির নদী বাঁধ থাকার কারণে প্রতিবারে নদী ও সাগরের চোখ রাঙানিতে নিতে বাড়িঘর ছেড়ে অন্য তো আশ্রয় নিতে হয় গ্রামবাসীদের (Depression in Sagar)।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ তার জেরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি । একটানা বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই ধুতে শুরু করেছে কাঁচা মাটির নদীবাধের মাটি । নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার ভরা কোটালের জোড়া ফলায় সাগরের বঙ্কিমনগর 1 নম্বর কলোনি নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকা । প্রায় 100 মিটারের মতো মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ ভেঙে যায় পূর্ণিমার জোয়ারের জলে । নোনা জলে প্লাবিত বিয়ের পর বিয়ের চাষের জমি । দিশাহারা পরিবার ।
আরও পড়ুন: সমুদ্র উত্তাল, পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা
স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাটির নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল এলাকা । বেশ কয়েক মাস আগে পূর্ণিমার ভরা কোটালে এই বাঁধ ভেঙে এলাকায় জল ঢোকে । যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ করলেও নিম্নচাপের যে টানা বৃষ্টি ও পূর্ণিমার ভরা কোটালে জোয়ারে জলে নতুন করে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় এলাকা ৷
সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, "গুরু পূর্ণিমার কোটালের জোয়ারের তোরে সাগরের বেশ কয়েকটি জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে । সেই ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । নদী বাঁধ মেরামতির কাজও হয়েছিল । নিম্নচাপ ও কোটালের কারণে যে সমস্ত জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে সে সমস্ত জায়গায় ইতিমধ্যেই সেচ দফতরের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদী বাঁধামতির কাজ চলছে । সাগর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে ।"