বারুইপুর, 23 মে : মিউজিয়াম বা জাদুঘরে যাওয়ার ইচ্ছা কার না থাকে ৷ মিউজিয়ামে প্রবেশ করে একের পর এক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখে বর্তমান কাল থেকে অতীতে হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা অনেকেরই থাকে (Baruipur Museum in House)। পেশায় অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের গবেষক ঘরের মধ্য়েই তৈরি করে ফেলেছেন একটি সংগ্রহশালা ৷
ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সংরক্ষণ করা । সেই স্কুল জীবন থেকেই সংগ্রহ শুরু করে ধীরে ধীরে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংগ্রহ তালিকা লম্বা হতে থাকে । ঘরেই তৈরি হয়ে গিয়েছে ছোট সংগ্রহশালা । কী না নেই সেই সংগ্রহশালায় । এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা থেকে শুরু করে আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে তাঁর সংগ্রহশালাতে । রয়েছে বিভিন্ন দেশের সিনেমার পোস্টার, বহু বছর পুরনো খবরের কাগজ, রয়েছে ডাকটিকিট ৷ শুধু এখানেই শেষ নয়, রয়েছে সুন্দরবনের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের কিছু তাত্ত্বিক নিদর্শন । রয়েছে চাবির রিং । দক্ষিণ 24 পরগনার কল্যাণপুরের কুন্দর আলি গ্রামের উজ্জ্বল সরদার বাড়ি এখন হয়ে উঠেছে জেলার ছোটখাটো মিউজিয়াম ।
আরও পড়ুন : শাহজাহানের সুরাপাত্র-আকবরের স্বর্ণমুদ্রা, ভারতীয় জাদুঘরে বিশেষ প্রদর্শনী
বছর পঁয়ত্রিশের উজ্জ্বল সরদার পেশায় অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের গবেষক । সপ্তম শ্রেণি থেকেই বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণের ইচ্ছ জাগে। সেই মতন ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণের কাজ শুরু করে দেন উজ্জ্বল । ছোটবেলা থেকেই এই সংগ্রহের ভূত মাথায় চেপে বসে । ধীরে ধীরে বয়স যতই বেড়েছে নিজের বাড়ি পরিণত হয়েছে ছোটখাটো সংগ্রহশালাতে। উজ্জলবাবুর এই সংগ্রহশালা দেখতে আসেন বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকের । এছাড়াও প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা এই সংগ্রহশালা দেখতে আসেন ।
উজ্জল সরদার বলেন, "সংগ্রহ করার ভূত আমার ছোট থেকেই চেপেছিল । সেই মতন বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করতে থাকি । এখন আমার সংগ্রহশালাতে রয়েছে এশিয়া-আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা, ডাকটিকিট, বিভিন্ন দেশের পুতুল । এছাড়াও রয়েছে সুন্দরবনের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন । সংগ্রহ করার কাজটা খুব সহজ ছিল না । আমি চাই আমার সংগ্রহশালা দেখে অনুপ্রাণিত হোক ছাত্রছাত্রীরা । তারাও সংগ্রহের কাজ শুরু করুক । এর ফলে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের কথা মানুষ জানতে পারবে ।"