বারুইপুর, 12 মে: দিনের আলোয় প্রকাশ্যে নির্বিচারে চলছে পাখি শিকার ৷ প্রতিবাদ করলেই মেলে হুমকি ৷ এমনাই অভিযোগ বারুইপুরের বাসিন্দাদের ৷ বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ ৷
তপ্ত দুপুরে পুকুর ও খাল থেকে শামুক খুঁজে তা খেতে আসে শামুকখোল পাখির দল । আর তখনই একদল চোরাশিকারী বাইকে করে এসে বন্দুক দিয়ে নির্বিচারে মারছে পাখিদের । গ্রামের মানুষজন তা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করলে চোরাশিকারীরা তাঁদের মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ ৷ এ ভাবেই দিনের পর দিন বারুইপুরের গ্রামীণ এলাকায় চলছে পাখি নিধন ।
অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যক্তিরা সব জেনেও নির্বিকার রয়েছেন । এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ 24 পরগনা বন বিভাগীয় আধিকারিক মিলন মণ্ডলকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব ।"
বারুইপুরের বেগমপুরের 200 কলোনির মাঠ এলাকা, আকনা, পিয়ালী, কাটাখাল বাইপাসের আশপাশে নিত্যদিন ঘটছে এই ঘটনা ৷ অভিযোগ, প্রকাশ্যে দিনের বেলায় বন্দুক নিয়ে শামুকখোল পাখি শিকার করছে একদল শিকারী । বেগমপুর পঞ্চায়েতের 200 কলোনি এলাকার বাসিন্দারা বলেন, দুপুরবেলা পাখির দল আসে পুকুরে-খালে । সেই সময় চোরাশিকারীর দল এসে একের পর এক পাখি মারছে । স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যদের জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি । এই ব্যাপারে বারুইপুর থানায় জানানো হলে পুলিশ বনদফতরকে জানাতে বলেছে বলে জানান স্থানীয়রা ।
এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, "যে কোনও পাখি মারা বেআইনি । কিন্তু তারপরেও একদল চোরাশিকারী এই কাজ করে চলেছে । বেশিরভাগ সময়েই উত্তরভাগ দিয়ে বাইপাস ধরে বাইকে চড়ে তারা এলাকায় ঢুকছে । কোনও প্রতিবাদ করলে বন্দুক দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে । এতে আমরা আতঙ্কিত ।"
যদিও স্থানীয় বেগমপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমর মণ্ডল বলেন, "এই ঘটনা ঘটছে আমাকে জানানো হয়নি । আমি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব ।"
আরও পড়ুন: গাজলডোবার মৎস্যজীবীদের রুটি-রুজি বদলে দিয়েছে পরিযায়ী পাখিরা