জয়নগর, 26 জুলাই: মাটির দাম বেড়েছে, ফলে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে বাড়তি গ্যাঁটের কড়ি খরচ করতে হচ্ছে মৃৎশিল্পীদের । কিন্তু মাটির পাত্র তৈরি করার পরেও, বাজারে তার চাহিদা তৈরি হচ্ছে না । বিক্রিও আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে । যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার জয়নগর থানা এলাকার গৌড়হাট কুমোর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা ।
সময় বদলাচ্ছে, ধীরে ধীরে আধুনিকতা গ্রাস করছে গ্রামকেও । সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছে বহু পেশা ৷ আগামী দিনে মৃৎশিল্পীদের পেশাও কি হারিয়ে যাবে ? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে কুমোরপাড়ার অলিতে গলিতে । মাটির দাম বাড়ছে, সেই সঙ্গে কমছে মাটির পাত্রের চাহিদা । পরিবর্তে জায়গা করে নিচ্ছে, প্লাস্টিক ও কাগজ । ফলে দিনদিন সমস্যায় পড়ছেন পেশাদার কুমোররা ।
বাজারে এখনও চায়ের দোকানে অনেকেই মাটির ভাঁড় পছন্দ করেন । তাই সেই চাহিদা থাকলেও মাটির অন্যান্য পাত্রের চাহিদা গত কয়েক বছরে অনেকটাই কমেছে । বর্তমানে গবেষকরা বলছেন, পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখতে হলে প্লাসটিককে বর্জন করতে হবে । তার পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কিছু উপাদান ব্যবহার করতে হবে । পরিবেশবিদদের মত, বর্তমান দুনিয়ায় মাটির পাত্রের তুলনায় পরিবেশবান্ধব আর কিছুই হয় না । তাই পরিবেশ বাঁচাতে হলে, মৃৎশিল্পীদেরও বাঁচাতে হবে ।
ঘরে-বাইরে আগে মাটির চাহিদা ছিল তুঙ্গে । গাছের টব থেকে শুরু করে মাটির বিভিন্ন ধরনের পাত্রের ব্যবহার ছিল দৈনন্দিন জীবনে। তবে এখন মাটির তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবহার অনেক কমে গিয়েছে । মাটির জায়গা নিয়েছে প্লাস্টিক ৷ এর ফলে মৃৎশিল্পীরা চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে । তারাও চাইছে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে মাটির জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়লে ,পরিবেশ বাঁচবে মৃৎশিল্পীরাও বাঁচবেন ।
আরও পড়ুন : মাথায় প্রকৃতি সংরক্ষণের ভাবনা, তাই মাটি ছাড়াই মাতৃমূর্তি নির্মাণ হোমগার্ড শিল্পীর