ভাঙড়, 16 জুন: থমথমে ভাঙড় ৷ শুক্রবার সকাল হতে এদিক ওদিক বোমা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার দৃশ্য চোখে পড়ল ৷ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৷ এদিনও গুলি চলে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ে ৷ উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিন ঘোষণার পর থেকে বারবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে সংবেদনশীল এলাকাটি ৷
স্বভাবতই এতে আতঙ্কিত হয়ে আছে এলাকার মানুষ ৷ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ভাঙড়ের বিডিও অফিস চত্বরে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে ৷ বিরোধী ও শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে গুলি চলে ৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের ৷ এর মধ্যে একজন শাসক বিরোধী দল আইএসএফ-এর কর্মী ৷
আজ সকালে এলাকায় বোমা দেখতে পায় স্থানীয়রা ৷ পুলিশের কাছে খবর গেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমা উদ্ধার করে পুলিশ ৷ আইএসএফ কর্মী-সমর্থকেরা অভিযোগ তুলছে, এলাকা দখল করাকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ে অশান্তি চালিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দাবি করেন, এলাকায় হিংসার ঘটনা শুরু করে আইএসএফ ৷
শাসকদলের এই অভিযোগ অস্বীকার করে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকে এলাকায় অশান্তি ও গণ্ডগোল শুরু করেছল তৃণমূলই । বিরোধীরা যাতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না-পারে, সেই কারণে বিডিও অফিস চত্বর ঘিরে রেখেছিল তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ বৃহস্পতিবার কার্যত এই সবকিছুর সীমা পেরিয়ে যায় ৷ বহু গাড়ি, দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা ৷ বোমাবাজি হয়েছে ঘন ঘন ৷ মৃত্যু হয়েছে তিন জনের ৷ তাঁদের মধ্যে দু'জন তৃণমূল কর্মী, একজন আইএসএফ ৷ এমনকী আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী প্রাণনাশের আশঙ্কা করে কেন্দ্রের কাছ থেকে নিরাপত্তা চেয়েছেন ৷