বারুইপুর, 16 নভেম্বর: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের 72 ঘণ্টা পর এফআইআরে নাম থাকা সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ । সূত্রের খবর, সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিপিএম নেতা আনিসুর লস্কর ফেরার ছিলেন ৷ মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই নদিয়ার রানাঘাট থেকে তাঁকে পাকড়াও করা হয় । আনিসুর লস্কর ছাড়াও আরও 4 জনকে আটক করেছে বারুইপুর পুলিশ জেলার এসওজি টিম । ধৃতদের নিয়ে আসা হয়েছে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারের দফতরে ।
সিপিএমের দাবি, দলের কোনও পদে নেই আনিসুর । ভোটের রাজনীতিতেও কখনও নামেননি । সাধারণ কর্মী হিসেবেই দলের কাজ করেন । বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত । তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতা জানান, গত পঞ্চায়েতে বামনগাছি এবং পাশের চালতাবেড়িয়া পঞ্চায়েত দখলে আনিসুরকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন এক বড় নেতা । কিন্তু দু’টি পঞ্চায়েতে একটি আসনও মেলেনি সিপিএমের । তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখল করে জেতার অভিযোগ ওঠে । সেই থেকেই নিহত সইফুদ্দিনের লস্করের সঙ্গে আনিসুরের তিক্ততা বাড়ে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়দের একাংশ ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয় আনিসুরকে । তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের অভিযোগে এর নামই প্রধানত শোনা গিয়েছিল । বারুইপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, অভিযুক্তদের খোঁজে গত কয়েকদিন ধরে নদিয়ার রানাঘাট, হরিণঘাটার মতো জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছিল । বৃহস্পতিবার সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় আনিসুর লস্করকে । আরও 4 জনকে নদিয়ার রানাঘাট, হরিণঘাটা থেকে আটক করা হয়েছে ।
গত সোমবার ভোরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিনকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ । পরিবারের তরফে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তাতে মূলত এই সিপিএমের নেতার কথা বলা হয় । আদতে দলুয়াখাকির বাসিন্দা আনিসুর । ওই ঘটনার পর, পালটা হামলার অভিযোগ ওঠে দলুয়াখাকিতে । আনিসুর-সহ 16 জন সিপিএম কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় । গোটা পর্ব ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে । কিন্তু অভিযুক্ত সিপিএম নেতার খোঁজ মেলেনি ।
যদিও তার পরিবারের দাবি, পুলিশ যখন তাঁর খোঁজ শুরু করে, তখন ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন আনিসুর । তার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি । এদিকে এই ঘটনায় সন্দেহভাজন সাহাবুদ্দিন লস্করকে এলাকার লোক পিটিয়ে মারে ৷ সাহারুল নামে একজনকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: