উস্থি, 22 ডিসেম্বর : উস্থির উত্তর কুসুমে অঞ্চলের যুব তৃণমূলের সভাপতি সুজাউদ্দিন গাজীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনায় মোট সাত জনকে গ্রেফতার করল উস্থি থানার পুলিশ (Police thinks inner clash did not play a role behind the Usthi TMC leader shot case)। ধৃতদের নাম আনোয়ার হোসেন হালদার, আক্রম আলি পুরকাইত, হাবিবুর রহমান মোল্লা, আতিবর রহমান মোল্লা, লালচাঁদ লস্কর, শরিফুল লস্কর ও কবিরুল লস্কর । পুলিশ সূত্রে খবর, গুলি কাণ্ডে ধৃত সাতজনের মধ্যে মূল অভিযুক্ত লালচাঁদ এবং তার দুই ছেলে কবিরুল ও শরিফুল ।
সোমবার রাতে উস্থি থানা এলাকার জাহাঙ্গীরগড় থেকে আনোয়ার হোসেন হালদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই মেলে বাকি অপরাধীদের খোঁজ । আনোয়ার হোসেনকে মঙ্গলবার ডায়মন্ডহারবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর ডায়মন্ড হারবার এসডিপিও মিতুন দে-র নির্দেশে তদন্তে নামে তিনটি দল । খবর অনুযায়ী ধৃতদের গ্রেফতার করা হয়েছে বারুইপুর, সুন্দরবন ও উস্থি থানা এলাকা থেকে । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরোনো আক্রোশ থেকে এই খুনের চেষ্টা করা হয়েছে । বুধবার বাকি ছ’জনকে ডায়মন্ড হারবার আদালতে পেশ করা হবে । অপরদিকে, অস্ত্রোপচারের পর গুলিবিদ্ধ তৃণমূল যুবনেতা সুজাউদ্দিনের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা । বর্তমানে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
আরও পড়ুন : উস্থিতে আক্রান্ত তৃণমূল যুবনেতার অবস্থা স্থিতিশীল, আটক 1
এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছে বিজেপি ৷ বিজেপি-র মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ হালদার বলেন, "বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও যুব তৃণমূল সভাপতি ইমরানের দ্বন্দ্ব চলছিল । তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে । রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে ।" অন্যদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ।