জয়নগর, 18 এপ্রিল: স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কারওর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে স্ত্রীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৷ স্ত্রী প্রাণে বেঁচে গেলেও মারা গেলেন শ্বশুর ও শাশুড়ি ৷ ঘটনার পরেই গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যায় জামাই ৷ তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ আজ ধৃতকে বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগর থানা এলাকার মানিকনগরে ৷ 9 বছর আগে এখানকার বাসিন্দা কৃষ্ণা সর্দারের সঙ্গে বিয়ে হয় জয়নগরের শ্রীকৃষ্ণনগরের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ মালির ৷ তাদের একটি 8 বছরের সন্তানও রয়েছে ৷ বিয়ের পর থেকে মাঝেমধ্যেই যখন তখন বাপের বাড়ি চলে যেতেন কৃষ্ণা ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তাদের মধ্যে বিবাদ বাঁধে বলে জানা গিয়েছে ৷ তার জেরে বিয়ের কয়েকবছর পরেই তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয় ৷ বিগত 1 বছর ধরে স্বামীকে ছেড়ে সন্তানকে নিয়ে বাবা ও মায়ের কাছে থাকছিলেন কৃষ্ণা ৷ স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলাও করেছিলেন তিনি ৷ এতে রাগ আরও বেড়ে যায় রামকৃষ্ণর ৷ স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি ফেরেননি ৷ তাই গত সপ্তাহে এসে স্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গিয়েছিল সে ৷
আরও পড়ুন: করোনার কোপ, পিছিয়ে গেল জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা
সেইমতো শনিবার রাতে সে শ্বশুরবাড়িতে যায় ৷ সেখানে ঘরের দরজার সামনে পেট্রল বা কেরোসিন জাতীয় কিছু ছড়িয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় রামকৃষ্ণ ৷ ঘরেই অগ্নিদগ্ধ হন কৃষ্ণার বাবা ও মা সুবল সর্দার ও কাজল সর্দার ৷ বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখে তাঁরা চিৎকার শুরু করেন ৷ তাঁদের চিৎকারে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন কৃষ্ণা ৷ আগুন জ্বলতে দেখে দৌড়ে আসেন প্রতিবেশীরাও ৷ তাঁরাই তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠান ৷ অবস্থা আশঙ্কাজনক হওযায় সেখান থেকে তাঁদেরকে পাঠানো হয় কলকাতার হাসপাতালে ৷ সেখানেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধ দম্পতির ৷
এই ঘটনার জেরে রামকৃষ্ণকে বেধড়ক মারধর করেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ৷ তারপর তাঁরা রামকৃষ্ণকে তুলে দেন পুলিশের হাতে ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷