ভাঙড়, 26 মে: মঙ্গলবার দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙরে এক বোমা বিস্ফোরণে ভেঙে যায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শরিফুল মোল্লার বাড়ির একাংশ । সেই ঘটনায় জখম হন শরিফুলের স্ত্রী রোশনারা বিবি । ঘটনার 48 ঘণ্টা পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ৷ তবে এগরা, বজবজ, দুবরাজপুর, মালদার পর ওই বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷ শুরু হয়েছে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে বাকযুদ্ধ ৷ শুক্রবার বিষয়টি নতুন মাত্রা পেয়েছে ৷ ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ৷
ভাঙড়ের কাশীপুরের গানিরাহট গ্রামের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার এলাকার তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম আইএসএফ কর্মীদের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন ৷ দিয়েছিলেন থানা ঘেরাওয়ের হুমকি ৷ শুক্রবার এর পালটা মন্তব্য করেছেন এলাকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ৷ তিনি বলেন, “যাদের বাড়িতে বোমা মজুত করা ছিল, পুলিশ কেন তদন্ত করে তাদেরকে গ্রেফতারর করছে না? আমি চাই প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করুক । যদি কোনও কারণে নিরাপরাধ কোনও মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয় তাহলে আমি এর বিরুদ্ধে আদালতে যাব । যারা প্রকৃত দোষী, তাদেরকে গ্রেফতার করা হোক । ওরা ওদের পুলিশের বিরুদ্ধে থানা ঘেরাও করতেই পারে । চোরের মায়ের বড় গলা ।” এত বোমা মজুতের সঙ্গে দেশবিরোধী কোনও সংগঠনের যোগ রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন নওশাদ ৷
এই বোমা বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার আরাবুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘‘দলীয় কর্মীদের বলছি, তৃণমূলের নামে যারা খারাপ ভাষা ব্যবহার করবেন, তাদের গ্রামের ভিতর থেকে ধরে আনতে হবে । ধরে এনে বেঁধে হাত পা গুঁড়ো করে দিতে হবে ।’’ যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে পুলিশকে । না হলে আগামিদিনে থানা ঘেরাও করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আরাবুল ৷ ওই সভা থেকে আইএফএফ নেতাদের ‘ছাগল চোর, মুরগি চোর’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি ৷ উল্লেখ্য, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে । তবে আহত রোশনারার দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আইএসএফ-ই । বিষয়টি নিয়ে কাশীপুর থানায় 13 জন আইএসএফ কর্মীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ।
আরও পড়ুন: বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ, উড়ল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির ছাদ