কলকাতা, 15 ডিসেম্বর: ভর সন্ধেয় বাংলার আকাশে রহস্যময় আলো! যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা ৷ পাশাপাশি আলোর উৎস সন্ধানে নেমে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা ৷ রহস্যময় আলোর উৎস কি এলিয়েনদের কোনও আকাশযান, নাকি কোন উপগ্রহ, নাকি অন্য কিছু ৷ যা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যেও আগ্রহ তুঙ্গে (Mysterious Light seen at the sky from various parts of Bengal) ৷
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা 5টা 55 মিনিট নাগাদ আকাশে এমন এক আলো দেখা গিয়েছে ৷ ডায়মন্ড হারবার-সহ দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, হাওড়া জেলার মানুষও সাক্ষী থেকেছেন মাঝ আকাশে রহস্যময় আলোর। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।কেউ বলছেন কয়েক মুহূর্তের জন্যই স্থায়ী ছিল ওই আলো, তো কেউ বলছেন আকাশে ওই আলোর স্থায়িত্ব ছিল প্রায় তিন মিনিট ৷ অনেকে দৃশ্যটি মোবাইল বন্দি করার চেষ্টা করেন। অনেকে ছবি তুলে তা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। যা ভাইরাল হয়েছে আন্তর্জালে ৷
আরও পড়ুন: জেলায় শীত পড়লেও কলকাতা কাঁপতে আরও একমাস, বলছে আলিপুর
যারা ওই দৃশ্য চাক্ষুষ করেছেন তারা জানিয়েছেন, আলোর তীব্রতা অত্যন্ত বেশি ছিল, দেখতে অনেকটা সার্চ লাইটের মতো ৷ অনেকের কাছে তা আবার ধূমকেতুর ন্যায়। আলোর ফোকাস ছিল ওপরের দিকে। অন্ধকার আকাশ রীতিমতো আলোকিত হয়ে যায় কয়েক মিনিটের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই সব ছবি চোখে পড়ার পর থেকেই নানা জল্পনার কথা বলছেন অনেকে। কেউ বলছেন, হতে পারে উল্কাপাত। আবার কেউ মনে করছেন কোনও বিমানে আগুন লেগে গিয়ে থাকতে পারে। একটিই সোর্স বা উৎস থেকে আলো বের হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আলোর উৎস সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি ৷
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অগ্নি-5 ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মহড়া হয়ে গেল ওড়িশার বালেশ্বরের এপিজে আবদুল কালাম আইল্যান্ড থেকে ৷ ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে অগ্নি-5 উৎক্ষেপণ মহড়ার কথা জানানো হয়েছে ৷ দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র সাড়ে 5 হাজার কিলোমিটার দূরে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম ৷ প্রতিরক্ষা বাহিনী এই খবর প্রকাশ করার পরেই বাংলার আকাশে দেখতে পাওয়া রহস্যময় আলোর কিনারা করা গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে ৷ তবে এ ব্যাপারে সরকারি কোনও সিলমোহর এখনও পড়েনি ৷
এ প্রসঙ্গে বিড়লা তারামণ্ডলেরও প্রাক্তন অধ্যাপক নিখিলেশ পাল বলেন, "মহাকাশে এই ধরনের আলোর রহস্য নতুন কিছু নয় ৷ সর্বদই বিভিন্ন এক্টিভিটি চলে, তেমনই কিছু সম্ভবত ৷ তবে বিষয়টি গবেষণার বিষয় ৷ তারপরেই সম্পূর্ণ উৎস বলা সম্ভব।"