ডায়মন্ড হারবার, 23 অক্টোবর: মৌসম ভবন থেকে ইতিমধ্যেই ঝড়ের গতিবিধি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । বাংলাদেশের উপকূলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সিত্রাংয়ের (Cyclone Sitrang) । এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই প্রভাবিত হবে সুন্দরবনের বিরাট এলাকা । পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। নিচু এলাকাগুলির পরিস্থিতি ঠিক কী জানতে পরিদর্শনও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন বাধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই মাইকিং করা হচ্ছে ঝড়খালি, কাকদ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা-সহ একাধিক উপকূলীয় এবং সুন্দরবন থানা এলাকাতে । যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন, তারা যাতে দ্রুত ফিরে আসেন তার জন্য নদী বক্ষেও মাইকে প্রচার চলছে । পাশাপাশি সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকাতে যে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলি রয়েছে সেগুলিও দ্রুত খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
24 তারিখ অর্থাৎ সোমবার থেকে কোনও পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না পর্যটকদের । শুধু তাই নয়, সুন্দরবনের নদী বক্ষে চলাচলকারী ফেরি নৌকা গুলিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । অন্যদিকে, পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে সরকারি অনুমতি দেওয়াও বন্ধ রাখা হয়েছে । কোনও পর্যটক নৌকা যাতে সেই সময় জঙ্গলে না ঢুকতে পারে তার জন্য বনদফতর ও পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে । এছাড়াও ইতিমধ্যেই বহু পর্যটন কেন্দ্রের ভ্রমণ বাতিল করা হয়েছে । ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ মহকুমার অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম ।
দক্ষিণ 24 পরগনার কাকদ্বীপ ,সাগর, ঝড়খালি, গোসাবাতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের । বিশেষ করে নদী বাঁধের উপর এই নজরদারি চালানো হচ্ছে । যেহেতু অমাবস্যার কোটাল রয়েছে ৷ এর ফলে সুন্দরবনের একাধিক নদী ও সমুদ্রতে জলস্ফীতি দেখা দেবে । কোথাও যাতে নদী বাঁধ ভেঙে মানুষের বিপদ না হয় সেদিকেই মূলত লক্ষ্য রাখা হচ্ছে ।
বিভিন্ন এলাকাতে যে সমস্ত সাইক্লোন সেন্টারগুলি আছে সেগুলি পরিস্কার করার কাজ শুরু হয়েছে । বিভিন্ন স্কুলগুলোতেও দুর্গত মানুষদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । ইতিমধ্যে হাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিন্মচাপের সৃষ্টি হয়েছে ৷ যা ঘূর্ণিঝড়ে ঘনীভূত হওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে । আছড়ে পড়তে পারে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় । আর সেই কারণে এ নিয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে গোটা সুন্দরবন জুড়ে । কারণ দুর্যোগ মানেই সবথেকে ভোগান্তি উপকূলের জেলাগুলির । সিত্রাং মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন । ইতিমধ্যেই একাধিক কমিটি গঠন করেছে তারা ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অভিমুখে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, বাংলায় কেমন প্রভাব ?