ক্যানিং (দক্ষিণ 24 পরগনা), 16 জুন : বারে বারে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বাঁধ ভেঙে ভেসে গিয়েছে সুন্দরবন ৷ প্রতিবার ঝড়ের পর নতুন করে ঘর তৈরি করলেও পরে ছেড়ে আসতে হয়েছে ভিটে ৷ এবার যশের আগে থেকেই রাজ্য সরকার, জেলা প্রশাসনের তরফে ক্ষয়ক্ষতি রোধের ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ফের তছনছ হয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ৷ সুন্দরবনের সম্পদ ম্যানগ্রোভের সংখ্য়া বৃদ্ধিই একমাত্র এই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে পারে সুন্দরবনের মানুষদের ৷
আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত পরিচালনা করবে কে? তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত 5
তাই সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সুন্দরবনের ক্যানিং-১ এবং বাসন্তী ব্লকে শুরু হল "ম্যানগ্রোভ রোপণ কর্মসূচি" আর "রোজগার দিবস" ৷ স্থানীয়রা নদীতে নৌকায়, পথে মাইকে ম্যানগ্রোভ রোপণের প্রচারে নেমেছিলেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে 15 কোটি ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ করা হবে সুন্দরবনে ৷ আর এই কাজে যোগ দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে গ্রামবাসীকে ৷ এমনকি গাছ কাটা বেআইনি ৷ তাই ধরা পড়লে পুলিশ আটক করতে পারে, প্রচারে ছিল এই সতর্কবাণীও ৷
বাসন্তী ব্লকের রামচন্দ্র খালির শিকারী পাড়ার হোগল নদীর চরে বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভ গাছের চারা রোপণ করেন জয়নগর কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, ক্যানিং মহকুমাশাসক রবিপ্রকাশ মিনা, বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহা, আইসি আব্দুল রোব খান । পাশাপাশি ক্যানিং-1 ব্লকের নিকাড়ীঘাটা অঞ্চলের মাতলা নদীর চরে বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভ গাছের চারা রোপণ করেন ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাস, ক্যানিং-1-এর বিডিও শুভঙ্কর দাস, জেলা পরিষদের সদস্য সুশীল সরদার প্রমুখ ।
এদিন ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে যশে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের রোজগারের পথ করে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হল। গত ২৬ ও ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে সুন্দরবনের নদী বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকে প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম । তবে যেখানে যেখানে ম্যানগ্রোভ গাছ ছিল, সেই সব জায়গায় নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি । ফলে নদী বাঁধ যাতে ঠিক থাকে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হয়, সর্বোপরি সুন্দরবন রক্ষার জন্য এই উদ্যোগ ।