বকুলতলা (দক্ষিণ 24 পরগনা), 15 এপ্রিল: যুবতিকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বকুলতলা থানার মায়াহাউরি অঞ্চলের পদুয়া গ্রামের।
বছর দুই আগে পদুয়ার বাসিন্দা দুরন্ত নস্করের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই যুবতির। যুবতির নাম লক্ষ্মী নস্কর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে যুবতির উপর মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করতে শুরু করে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
গতকাল হঠাৎই ওই যুবতির বাড়িতে খবর দেওয়া হয় যে তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। যুবতির মা কাকলি দাস বলেন, তাঁকে বলা হয় মেয়ে জামাইয়ের মধ্যে অশান্তি হয়েছে। মেয়ে তাই দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপরই তিনি বকুলতলা থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। যুবতির মায়ের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই যুবতির স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও তাঁর স্বামী পালটা অভিযোগ করেন, গতকাল সন্ধ্যায় পাড়ায় গাজন গানের আসর বসেছিল। সেই সময় স্ত্রীকে পাড়ার অন্য ছেলেদের সঙ্গে গল্প করতে দেখেন তিনি। এই কারণে পরে বাড়ি ফিরে আসলে স্ত্রীকে মারধর করেন। তাঁর দাবি, সেই অভিমানেই তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।