নরেন্দ্রপুর, 12 মে: নাবালিকা পুত্রবধূকে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার ঘটনা । নরেন্দ্রপুর থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে নিগৃহীতা ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত শ্বশুর ৷ খোঁজ নেই নিগৃহীতার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য লোকজনেরও ৷ তাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷
মাস ছয়েক আগে বিয়ে হয় 17 বছরের ওই কিশোরীর ৷ অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বাড়িতে নাবালিকা পুত্রবধূকে একা পেয়ে তার উপর যৌন নির্যাতন চালাতে শুরু করে শ্বশুর ৷ এই বিষয়ে নির্যাতিতা তার স্বামী ও শ্বাশুড়িকে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ ৷ উলটে বাইরের কারওকে এ কথা বললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ কিশোরীকে তার শ্বশুরবাড়িতে মারধরও করা হত বলে অভিযোগ করেছে সে ৷ এমনকী বাড়ির বাইরে যাতে সে বের হতে না পারে, সে জন্য তাকে বাড়ির মধ্যে তালা লাগিয়ে দিয়ে যাওয়া হত বলে অভিযোগ ৷
নাবালিকার আরও অভিযোগ, প্রতিবেশীদের সঙ্গেও তাকে কথা বলতে দেওয়া হত না ৷ সে পুলিশকে জানিয়েছে যে, সকালবেলায় বাড়ির সবাই কাজে বেরিয়ে যেত ৷ আর তার কিছু সময় পরই তার শ্বশুর বাড়ি ফিরে আসতেন ৷ সেই সময় বাড়ি ফাঁকাই থাকত ৷ সেই সুযোগ নিয়ে শ্বশুর তার উপর যৌন অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ করেছে কিশোরী ৷ প্রতিবাদ করতে গেলেই নাকি জুটত মারধর ৷ বাপের বাড়ি থেকে পণ দেওয়া হয়নি বলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন সবাই মিলে তাকে মারধর করত বলে জানিয়েছে নির্যাতিতা ৷ জানা গিয়েছে, প্রথমে প্রেম, তারপর বেআইনিভাবে মাত্র 17 বছর বয়সে ওই নাবালিকার বিয়ে হয় ৷
এই ঘটনার পর থেকে পলাতক নির্যাতিতার শ্বশুর ও স্বামী । অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন: গায়েহলুদ হলেও হল না সাতপাকে ঘোরা! ছাদনাতলায় এসে নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন