পাথরপ্রতিমা, 3 সেপ্টেম্বর: প্রত্যন্ত গ্রামে আশ্রম নির্মাণ করে মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ (One Person was Detained for Misbehavior with Devoted) ৷ সবক শেখাতে আশ্রমের মহারাজকে গাছে বেঁধে গণধোলাই এলাকাবাসীর ৷ পুলিশ এসে অভিযুক্ত মহারাজ অমলেশ চক্রবর্তী-সহ আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার পাথরপ্রতিমা অচিন্ত্যনগর জিপির বিষ্ণুপুরে ৷
অভিযোগে, সম্প্রতি বিষ্ণুপুরে মহানমি স্থলি আশ্রম নামে একটি আশ্রম গজিয়ে উঠেছিল। ওই আশ্রমে এলাকার বহু মানুষ ও মহিলারাই আসা-যাওয়া ছিল। প্রতিদিনই যাগ-যজ্ঞ করে পূজা অর্চনা লেগে থাকত। আশ্রমের প্রধান মহারাজ ছিলেন অমলেশ চক্রবর্তী। যিনি নিজেকে কৃষ্ণ অবতার বলে পরিচয় দিতেন । আড়ম্বর করে তিনি কৃষ্ণের পূজা করতেন ৷ তন্ত্র-মন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের নানান ধরনের রোগ নিরাময়ের জন্য মাদুলি-জল পোড়া দিতেন। অভিযুক্ত ওই সাধু দাবি করতেন, তার কবজ-মাদুলি গ্রহের দোষ কাটিয়ে বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরি এনে দেয়। চাকরির লোভ এবং প্রলোভনে পা দিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষিতা মহিলা আশ্রমে দিনের পর দিন যাতায়াত করতেন।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ ! পলাতক 3 যুবক
সম্প্রতি বিষ্ণুপুর এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয় ওই সাধুর। যিনি এক স্কুল শিক্ষিকার মেয়ে ৷ তিনি স্নাতোকত্তর ও বিএড উত্তীর্ণ । অভিযোগ, তাঁর ফোনে নানারকম কু-প্রস্তাব পাঠাতেন ওই সাধু । ঘটনাটি জানতে পেরেই ওই নির্যাতিতার মা এসে এলাকাবাসীদের সমস্ত বিষয়টি জানান ৷ মোবাইল ফোনের রেকর্ডিং ও এসএমএস দেখান। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার মানুষজন। তারপরই আশ্রম থেকে মহারাজকে বের করে এনে সবক শেখান তারা ৷ অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছেন পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ।